এম এইচ শাহীন: মুন্সিগঞ্জের মেঘনায় ডাকাত দলের গোলাগুলিতে নিহত দুই নৌপথে আতঙ্কিত নাম কিবরিয়া ও জহির শিরোনামে গত ৩০ জানুয়ারি জাগোনিউজ২৪.কম ‘মুন্সীগঞ্জে দু- গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই’ ও ডেইলি অবজারভার অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব; কিবরিয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই’ এ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মের্সাস সূচনা এন্টারপ্রাইজ’র স্বত্বাধিকার গোলাম কিবরিয়া মিজি। এক লিখিত প্রতিবাদে তিনি বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। তারা যে তথ্যে ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করেছে সেটি সত্য নয় । আমার লোকজন নদীতে কানা জহিরের লোকজরেন উপর হামলা চালিয়ে গুলি করে দুইজন নিহত করেছে এটা তথ্যগত ভুল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ১৯৯৩ সাল থেকে মুন্সীগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস করি না। আমার পরিবারের লোকজনও সেখানে থাকে না। বছরে দুই- এক বার জরুরি কাজে যাওয়া হয়। সেটাও সকালে গেলে বিকেলে আবার ফিরে আসি। সরকারি ভাবে বিজয় এন্টারপ্রাইজ বালু মহালটি পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাও বন্ধ রেখেছি। সুতরাং আমার সাথে ডাকাত কানা জহিরের বালু নিয়ে কিসের দ্বন্দ্ব হবে। এ ডাকাতদের সাথে আমি কেনো বা যাবো মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ডাকাতি ও নির্যাতন বন্ধ করতে কয়েক দফা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হয়েছে। গত বছর ৫ আগস্টের পর বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামের ইজারাকৃত বালু মহালের দায়িত্ব আসে আমার কাছে। একটি দুর্ঘটনার পর সে বৈধ মহালটিও আমি বন্ধ রাখি। তার পর থেকে আমার আর মুন্সীগঞ্জে যাওয়া হয়নি।
গোলাম কিবরিয়া মিজি তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত বৃহস্পবার সন্ধ্যায় দিকে মুন্সীগঞ্জের সীমানাধীন কালিরচর, মেঘনা নদীতে ডাকাত কানা জহির অবৈধভাবে ড্রেজার বসাতে গিয়ে অন্য একটি ডাকাত দলের সাথে গোলাগুলিতে জহিরের পক্ষের দুইজন ডাকাত নিহত হয়েছে। এই ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাকে জনড়ানো হয়েছে। যা কিনা আমার ব্যক্তি জীবনে প্রভাব ফেলেছে। একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দৈনিক সভ্যতার আলো, জাগোনিউজ২৪.কম ও ডেইলি অবজারভারব পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও
গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি। মের্সাস সূচনা এন্টারপ্রাইজ’র স্বত্বাধিকার গোলাম কিবরিয়া মিঝি বলেছেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন সুনাম ও সম্মানের সহিত পরিচালনা করে আসছি। আমি বৈধ ব্যবসা ছাড়া জীবনেও কোনো দিন অবৈধ ব্যবসা কিংবা অবৈধ কাজে নিজেকে যুক্ত করিনি। মুন্সীগঞ্জের কারো কাছে একটি টাকাও চেয়ে নেইনি। শুধুমাত্র আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল এ ধরনের ঘটনার সাথে আমাকে জিড়িয়েছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।