পরকীয়ার জেরে শাহিনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা

মো.এমরুল ইসলাম 

ষ্টাফ রিপোর্টার,নরসিংদীঃ

নরসিংদীর মনোহরদীতে শাহিন আলম (২৯) নামের যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরে তাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে নদে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় নারীসহ দুজনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মনোহরদী থানা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার এই যুবক ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের ডনডনিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের চর নারান্দী সেতুর নিচ থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়,শাহিন আলম একজন কোরআনের হাফেজ ছিলেন। ২০১৮ সালে মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের পাঁচকান্দী গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতির চাকরি নেন। সেখানে প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শান্তা আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে সে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শিবপুরে গিয়ে চটপটি ও ফুচকা বিক্রি করতেন। এদিকে ওই নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক চলমান ছিল। মাঝে-মধ্যে সে শান্তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেখেছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ আরো জানায়, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে শাহিন আলমের স্বজনরা মনোহরদী থানায় আসেন। এসময় তারা জানান, শান্তা আক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন শাহিন। পরে শান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে মনোহরদী থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে তাকে সঙ্গে নিয়ে শিবপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শান্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশকে জানায়, সোমবার দুপুরের পর শাহিন তার বাড়িতে আসে। পরে তার সঙ্গে ঝগড়া হলে ক্ষোভে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করে এবং রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী মোস্তাফার প্রাইভেটকার দিয়ে চরনারান্দী সেতুর নিচে ফেলে আসে।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘সন্দেহজনকভাবে পরকীয়া প্রেমিকা শান্তা এবং প্রাইভেটকার চালক মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ