সুন্দরবনে ভ্রমনে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের জন্য যুক্ত হলো আরো ৬ জলযান

এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট: বিশ্ব ঐতিহ সুন্দরবনের নৌযানবহরে যুক্ত হলো আরো ৬ জলযান

সুন্দরবন ভ্রমণে বিদেশি পর্যটক ও রাষ্ট্রীয় অতিথিদের জন্য এবার যুক্ত হয়েছে আবাসন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দুটি লঞ্চ। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ‘এমভি বন বিহারিণী’ ও পশ্চিম বন বিভাগে ‘এমভি বন মালা’ নামে লঞ্চ দুটি হস্তান্তরের পর ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করা হয়। আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্ব) দুপুরে মোংলার ফুয়েল জেটিতে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এর উদ্ধোধন করেন।

এছাড়াও এদিন সুন্দরবনকেন্দ্রিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে ‘ স্মার্ট পেট্রোলিং’ টিমের জন্য দুটি ফাইবার বডি ট্রলার ও দুটি ওপেনটাইপ স্পিডবোট হস্তান্তর করা হয়েছে।

সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা দ্বিতীয় পর্যায়ে শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয় এসব জলযান।
সুন্দরবন বিভাগে এসব জলযানের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষা ও পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে অনেক ভালোবাসেন। আমি শপথ নেওয়ার পর তিনি আমাকে বনের রাণী বলে ডাকেন।

তাই সুন্দরবন শব্দটা আমার কানে আসলেই ছুটে আসি। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি বনকেন্দ্রীক নানা অপরাধ ঠেকাতে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কাজ করেছি’।
২০১১ সাল থেকে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং বনরক্ষীদের জন্য আধুনিক জলযান তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পরে উপমন্ত্রী সুন্দরবন বিভাগে যুক্ত হওয়া লঞ্চ ‘বন বিহারিণী’তে করে বনের করমজল ও ঢাংমারীতে ভ্রমণে যান।

এসময় তার সাথে ছিলেন- মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সি এফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা দ্বিতীয় পর্যায়ে শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম ও করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির।

সর্বশেষ