ইবি শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ

ইবি শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তারা হামলাকারী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদের শাস্তি ও ব্যাংক থেকে অব্যাহতির দাবি জানান।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তারা উভয়েই কুষ্টিয়া হাউজিং ডি ব্লক এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী সূত্রে, প্রতিদিনের মত বুধবার সকালে হাঁটতে বের হন ড. মোস্তাফিজ। এসময় আবাসিক এলাকার হাউজিং ডি ব্লকের সামনে আসলে তার উপর হামলা চালান প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল। এসময় তার উপর উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন সোহেল। এতে ওই শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত হন। এসময় তাকে পরিবারসহ শহর ছাড়তে এবং অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন সেই কর্মকর্তা। পরে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেন আল হাদিস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রধান ফটক ছেড়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিম ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার, ভুক্তভোগীর নিকট অভিযুক্তকে ক্ষমা চাওয়া ও অগ্রণী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বন্ধ রাখতে হবে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেন তারা।

সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি যেন তারা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিরসনে অবরোধ তুলে নেয়। তারা আমাদের কথা রেখেছে। আমরা তাদের কথা দিয়েছি যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ দিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগেও ভুক্তভোগীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক কুষ্টিয়ার হাউজিংয়ের ডি ব্লকে বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বাঁধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। এরপর তিনি আবারও গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষকদের হুমকি ও লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনায় প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক।

সর্বশেষ