আফটার : ২০১৯ সালে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পায় আফটার সিনেমাটি। দর্শকরা এই সিনেমার সঙ্গে মিল পেতেই পারেন ৩৬৫ ডে’জ এবং ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ সিনেমা দুটির। ওই দুই সিনেমার মতোই এই সিনেমাতেও এক নারীর জীবনে আচমকাই এসে পড়ে এক রহস্যময় পুরুষ। সেই পুরুষটির আগমনে যেন নিজের যৌনতা বন্ধনহীন হয়ে পড়ে নায়িকার। চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে ফিল্মটি যথেষ্ট নিন্দিত হলেও খোলামেলা যৌন দৃশ্যের জন্য বহু দর্শক সিনেমাটি বারবার দেখেছেন। এই সিনেমাতে অভিনয় করতে দেখা গেছে হিরো ফিয়েন্স টিফিন এবং অভিনেত্রী জোসেফিন ল্যাংলর্ডকে।

নক নক : ২০১৫ সালে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে। সাধারণত, সিনেমায় বৃষ্টির রাতে দুই অচেনা নারী এক গৃহস্থর ঘরে আশ্রয় নিলে প্রথম থেকেই বাড়তি কৌতূহল তৈরি হয় দর্শকের মনে। এই সিনেমাতেও খেটে গিয়েছিল সেই ফর্মুলা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল যে এই দুই নারী হয়তো অশরীরী অথবা ডাকাত। কিন্তু সিনেমাটি যত এগোতে থাকে দুই নারীর চরিত্রও বেরিয়ে আসতে থাকে খোলস ছেড়ে। শেষমেশ তাদের আশ্রয় দেওয়া সাধারণ একজন গৃহস্থের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনই যে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল তা স্পষ্ট হয় সিনেমাটির শেষে। কিয়ানু রিভস, লরেঞ্জা ইজো এবং অ্যানা দে আরমাস এই ছবির প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেন।
দ্য বয় নেক্সট ডোর : জেনিফার লোপেজ, রিয়ান গুজম্যান অভিনীত ‘দ্য বয় নেক্সট ডোর’ সিনেমাটি ২০১৫ সালে বক্স অফিসে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটির নাম থেকেই পরিষ্কার যে পাশের বাড়ির ছেলে অর্থাৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন নায়িকা। তবে এরপর কোন দিকে গড়ায় এই সম্পর্ক তা জানতে গেলে অবশ্যই দেখতে হবে ‘দ্য বয় নেক্সট ডোর’।
ডন জন : ২০১৩ সালে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাওয়া ‘ডন জন’ সিনেমাটিকে একাধারে যৌনতা এবং শিক্ষামূলক, উভয়ই বলা যায়। পর্ন ছবিতে আসক্তি অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ ডেকে আনে বিভিন্ন বয়সের মানুষের জীবনে। ঠিক তেমনিভাবেই নায়কের শয্যাসঙ্গিনী হতে অনিচ্ছুক এক নারীকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে কিভাবে অশ্লীল ছবিতে আসক্ত হয়ে পড়েন ছবির নায়ক, তারই গল্প বলে ‘ডন জন’। স্কারলেট জোহানসন, জোসেফ গর্ডন লেভিট এবং পর্ন অভিনেত্রী মিয়া মালকোভাকে দেখা গেছে এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে।
দ্য পিয়ানো টিচার : যৌনগন্ধী সিনেমার তালিকায় সবার ওপরে থাকবে ‘দ্য পিয়ানো টিচার’ সিনেমাটি। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি শুধু দর্শক মহলেই সমাদৃত হয়েছিল তা নয়, পাশাপাশি কান চলচ্চিত্র উৎসবেও গ্রাঁ প্রি পুরস্কার জিতে নিয়েছিল ‘দ্য পিয়ানো টিচার’। অভিনেতা হাপার্ট এবং ম্যাগিমেল জিতে নিয়েছিলেন সেরা অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর পুরস্কার। এক পিয়ানো শিক্ষিকার সঙ্গে তার ছাত্রের সম্পর্ক, যা প্রেমের নয় বরং কিছুটা বিকৃত যৌন ইচ্ছার। এমন গল্পে নির্মিত সিনেমাটি তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সব মহলেই। এটি নেটফ্লিক্সে রয়েছে।