স্টাফ রিপোর্টারঃ- দেশকে বিপন্ন পরিবেশের হাত থেকে রক্ষা করতে যখন সবাই সোচ্চার এবং দেশের নদী-খাল-বিলগুলোর নাব্যতা ফেরাতে ব্যস্ত, তখন সেই মুহুর্তে বরিশালের আগৈলঝাড়া সদর থেকে রাজিহার-মাগুড়া এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র খালের মধ্যে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মৎস্য শিকার।
বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক গতি বন্ধ করার ফলে খাল তার নাব্যতা হারাচ্ছে, সেই সাথে খাল গুলো হয়ে পড়ছে মাছ শূন্য।
গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উপজেলার রাজিহার বাজার সংলগ্ন খালের মধ্যে রাজিহার গ্রামের মৃত. সাধন বাড়ৈর ছেলে মতি লাল বাড়ৈর আড়াআড়ি দেয়া বাঁধ ও মাছ ধরা চাই অপসারণ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন। বাঁধ অপসারণের সময় বাঁধের কাছে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় বাঁধের বাঁশ ও মাছ ধরার অবৈধ চাই জব্দ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম, ইউপি সদস্য সঞ্জয় রায় প্রমুখ।
জানা গেছে, উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র খালে রাজিহার বাজার সংলগ্ন খালে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের মহোৎসব চলতো। ওই খালের মধ্যে বাঁধ দেয়ার কারনে উত্তর দিকের মাগুড়া গ্রামের কোন খালেই মাছ পাওয়া যেত না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
খালে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়ার কারণে পানি বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে পলি পড়ে ভরাট হচ্ছে খালের তলদেশ। এছাড়া এসব বাঁধে বিভিন্ন অবৈধ চাই পেতে রাখার কারণে বড় থেকে ছোট মাছ এমনকি মাছের ছোট ছোট পোনা পর্যন্ত ধরা পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার ফলে আমরা বর্তমানে মাছ ধরার কোন সুযোগ পাই না। খালে বাঁধ দিয়ে যেভাবে পাইকারিহারে ছোটবড় মাছ ধরছে তাতে অচিরেই খাল-বিলের পানি মাছ শূন্য হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।