১৬ জুন এক নজরে বাংলাদেশ
সুনামগঞ্জে বন্যায় আশ্রয় গ্রহণকারী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ
সুনামগঞ্জ, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ১১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের ৮০ শতাংশ বাড়ি-ঘরে পানি উঠে গিয়েছে। ছাতক এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রায় সকল বাড়িঘরে পানি উঠে গিয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর এবং তাহিরপুর উপজেলার নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি উঠে গিয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সিলেটের যোগাযোগ এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ছাতক উপজেলায় ৪০টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি এবং জেলা সদরে ২০টিসহ মোট ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ হাজার মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী মানুষকে শুকনো খাবার : চিড়া, মুড়ি, গুড়, মোমবাতি, ম্যাচ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া, সিলেট জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয় এবং নেত্রকোনা জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪০টি মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেম টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ‘মোবাইল অ্যাপস এন্ড গেম টেস্টিং ল্যাব’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি বিভাগের মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ বদিউজ্জামান ভূঁইয়া এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান রাহাত হোসেন ফয়সাল ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে বিশ্বের মোবাইল গেম এন্ড অ্যাপ্লিকেশন এর মার্কেট সাইজ ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করে বলেন এ মার্কেটে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাদের মেধাবী তরুণদের মোবাইল গেম অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার হিসেবে পারদর্শী করে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বরিশাল জেলায় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীনদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নি-দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীনদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দেখতে যান।
আজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। পরে তিনি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে চিকিৎসাধীন ১০ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তার চেক প্রদান করেন।
এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার এ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজন এবং আহতদের পাশে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুর্ঘটনায় আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাই সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় যেসকল শ্রমিক চিকিৎসাধীন সবাই শ্রম মন্ত্রণালয়ের এ তহবিল হতে চিকিৎসা সহায়তা পাবেন। নিহত, আহত কোনো শ্রমিকই এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন না।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় চিকিৎসাধীন এ পর্যন্ত ১৫৮ জন শ্রমিককে ৭৯ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের আইকন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের আইকন। সাহস থাকলে কি হয়-পদ্মা সেতু এর প্রমাণ; যা ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমরা জাহাজ ‘এমভি সমৃদ্ধি’ হারিয়েছি। আমরা আরো জাহাজ সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ হবো। সাহস ও মনোবল হারাবেন না। অফিসার ও নাবিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন। বাংলাদেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিএসসি ভূমিকা রাখবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় দৈনিক বাংলাস্থ বিএসসি’র আঞ্চলিক কার্যালয় বিএসসি টাওয়ারে এমভি সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মরহুম মোঃ হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের ৭ মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া এম.ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুবরণকারী জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মরহুম মোঃ হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)’র পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের চেক প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মরহুম মোঃ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার এবং অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের ৭ মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। এটি বাংলাদেশ তথা বহির্বিশ্বের মেরিটাইম সেক্টরে নজিরবিহীন। এছাড়া থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মরহুম মোঃ হাদিসুর রহমানের ভাইকে বিএসসিতে চাকরি দেয়া হয়েছে।
বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এসএম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, জাহাজের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান। অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মোঃ জালাল উদ্দিন, বিমা ব্রোকার টাইজার এন্ড কোম্পানির বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং বিএসসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
হাওরের উন্নয়নে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশে হাওরের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করে হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী কাজ করছেন। স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাওরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর হবে। তারা হাসিমুখে ফসল ঘরে তুলতে পারবে।
আজ রাজধানীর গ্রিন রোডে বাংলাদশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আর হাওর রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। হাওর রক্ষায় সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান। এ কারণে তিনি হাওরে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে আর হাওরের মানুষের কান্না দেখতে না হয়।
তিনি বলেন, সারাদেশে নদীভাঙন রক্ষায় বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারাদেশে নদীভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এসময় হাওর উন্নয়নের মহাপরিচালক মোঃ মাশুক মিয়া, পরিচালক কেএম আবদুল ওয়াদুদ, মোঃ অলিউল্লাহ মিয়া, ড. আলী মুহম্মদ ওমর ফারুক, উপপরিচালক নূরজাহান খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বরিশালকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বরিশাল হাইটেক পার্ক তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার উল্লেখ করে বলেছেন, তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বরিশালকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বরিশাল শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বরিশাল আইটি/’হাইটেক পার্ক-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন জ্ঞানসমৃদ্ধ, প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ৬৪ টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এছাড়া শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অভ্ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ও দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষায়িত ল্যাব চেষ্টা করা হচ্ছে।
পলক বলেন, আইটি/আইটিইএস খাতে ইতোমধ্যে ২০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আইসিটি খাতের রপ্তানি আয় বর্তমানে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা এখন সাড়ে ৬ লক্ষ। তিনি
বলেন, বরিশাল হাইটেক পার্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এলাকার তরুণরা বরিশাল নগরীকে সিলিকন নগরী হিসেবে গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ১২ জেলায় আইটি/ হাইটেক পার্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মমতাজুল হক। বরিশালের পুলিশ কমিশনার, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩ জুলাই থেকে ডিসি অফিসের রেকর্ডরুম সেবা কেবল www.land.gov.bd -এ কিংবা ১৬১২২ নম্বরে
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
আগামী ৩ জুলাই ২০২২ থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় (কালেক্টরেট) রেকর্ডরুম থেকে যেকোনো ধরনের খতিয়ান বা মৌজা ম্যাপসংক্রান্ত সেবার ম্যানুয়াল আবেদন (কাগজের আবেদন) গ্রহণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে পত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, এখন ভূমিসেবা প্ল্যাটফর্ম www.land.gov.bd থেকে ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ডস সিস্টেম ব্যবহার করে নাগরিকগণ খতিয়ান বা মৌজাম্যাপ সংক্রান্ত যেকোনো সেবার জন্য আবেদন করতে পারছেন। সেবা গ্রহীতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী সরাসরি অফিস কাউন্টার থেকে অথবা ডাকযোগে ডেলিভারি গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়াও তারা সার্ভিস চার্জ বা ডাকমাশুলসহ সকল প্রযোজ্য ফি অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করতে পারছেন। তাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ বা প্রদানে কোনো ধরনের নগদ অর্থের লেনদেন করারও প্রয়োজন হচ্ছে না। ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেও একই সেবা তারা গ্রহণ করতে পারছেন।
তবে এখনো কিছু জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত রেকর্ডরুম থেকে খতিয়ান এর স্বাক্ষরিত কপি বা মৌজাম্যাপ সংক্রান্ত সেবার আবেদন ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ডস www.land.gov.bd সিস্টেমস ব্যতীত ম্যানুয়াল (পেপার আবেদন) পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, নাগরিকদের ডিজিটাল ভূমিসেবা প্রদানের স্বার্থে রেকর্ডরুম থেকে যেকোনো ধরনের খতিয়ান বা মৌজা ম্যাপ সংক্রান্ত সেবার ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করে পত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
খরস্রোতা আমাজনে সেতু না হলেও পদ্মায় সেতু নির্মাণে বিশ্ববাসী অবাক : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, খরস্রোতা আমাজন নদীর উপর কেউ সেতু করার সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মার বুকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন।
আজ মাদারীপুর জেলার শিবচরে কাঠালবাড়ি ঘাটে আসছে ২৫ জুন বাংলার মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে জনসভায় যোগদান করবেন তা পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবল এবং অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এই সেতু আমাদের গর্বের ও অহংকারের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশাল এই জনসভায় আগত মানুষদের নিরাপত্তা এবং সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনসহ সকল প্রকার সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জনসভায় উপস্থিত মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দু’টি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন, ১২ টি জলাধার স্থাপনের মাধ্যমে পাঁচশ’ টি ট্যাপের মাধ্যমে চলমান পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্থাপন করবে।
এছাড়া, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০ টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ পাঁচশ’ টয়লেট স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ বঙ্গের সাথে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ তৈরি হবে। এর ফলে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয় সারাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ পাবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় জাতীয় সংসদের নুর-ই-আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিকে দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী তার বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করার জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। এজন্য তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি বেশি করে গাছ লাগানোর জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়তে পারবো নির্মল বাসযোগ্য পরিবেশ।
আজ পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২২’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ হ্রাসের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়ছে। বায়ুদূষণ রোধে নির্দেশিকা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ৩ বছর মেয়াদি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে পাহাড় ও টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ই-বর্জ্য ও চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা করা হয়েছে। তরল বর্জ্য নির্গমণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা স্থাপন ও জিরো ডিসচার্জ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশব্যাপী ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিবেশের মান উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণে সফলতা লাভ করতে সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশনের বিশিষ্ট ফেলো আবুল কালাম আজাদ এবং পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ডক্টর কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২২ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলায় অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
শুরু হয়েছে জাতীয় ফল মেলা
পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কাজ করছি : কৃষিমন্ত্রী
বরিশাল, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২২। আজ সকালে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। মেলা চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারছেন। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। মানুষকে পর্যাপ্ত পুষ্টিজাতীয় খাবার দিতে সরকার কাজ করছে। বর্তমানে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম খেতে পারছে, এটিকে ২০০ গ্রামে উন্নীত করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জন্য ২০০ গ্রাম ফল নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেজন্য, পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব ঘটিয়েছি তেমনি ফলের উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই।
দেশি ফল বিলুপ্ত হবে না বলে এসময় জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশি ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
পরে কেআইবি মিলনায়তনে জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে যোগ দেন মন্ত্রী।
কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ
মোঃ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার। তিনি জানান বর্তমানে দেশে দেশি বিদেশি ৭৮ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ফলের শতকরা ৬০ ভাগই হচ্ছে আম, কলা ও কাঁঠাল।
এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী খামারবাড়ি সড়কে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ‘মৃত্তিকা ভবন’ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বস্ত্রখাতকে টেকসই ও যুগোপযোগী করতে কাজ করছে সরকার
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, টেকসই ও যুগোপযোগী বস্ত্রখাত তৈরি করতে নানামুখী নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে পুনরুজ্জীবিত করতে আয়োজন করা টেক্সটাইল খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী “ইনটেক্স সাউথ এশিয়া”-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভারতের বস্ত্র সচিব উপেন্দ্র প্রাসাদ সিং, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ বস্ত্রখাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতিনিধিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বস্ত্রখাতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে এ খাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পোশাকখাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। এখাতের ব্যবসাকে সহজতর করার জন্য নীতি সহায়তা প্রদান, অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে দৃঢ় সহায়তার ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পোর্টের সুবিধা বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সাশ্রয়ী বিশাল শ্রমশক্তি, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দক্ষ মানব সম্পদগুলোর সমন্বয় বস্ত্র ও পোশাকগুলো আরো দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমভাবে গড়ে উঠতে পারবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বস্ত্রখাতের আরো সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী-সমর্থকদের ওপর বেশি নজরদারি-খবরদারি সত্ত্বেও সুষ্ঠু নির্বাচন করায় কমিশনকে ধন্যবাদ : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর বেশি নজরদারি-খবরদারি সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন একটি ভালো, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের বার্ষিক প্রকাশনা ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘কুমিল্লার জনগণকে অভিনন্দন জানাই এজন্য যে, দীর্ঘদিন পর সেখানে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র জয়লাভ করেছে। নির্বাচনের সাথে আমাদের দলের যারা সংশ্লিষ্ট ছিলো তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। সেখানে যারা প্রার্থী ছিলো সবাই বলেছে এটি একটি স্বচ্ছ, ভালো, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, যা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যদিওবা নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সময় আমাদের দলীয় প্রার্থী এবং সমর্থকদের ওপর নজরদারিটা অন্য প্রার্থীর তুলনায় বেশি করেছে।’
হাছান মাহ্মুদ কুসিক নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থীকেও অভিনন্দন জানান ও বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত অল্প ভোটে হেরেছেন। এতো অল্প ভোটে হারলে আসলে মেনে নেয়া কঠিন হয়, সেজন্য তিনি আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন। তবে আমরা আশা করেছিলাম আমাদের প্রার্থী আরো বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে।’
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘এই নির্বাচন সুষ্ঠ নয়’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত যখন কেউ কানা হয় তাকে তো আপনি চাইলেই দেখাতে পারবেন না। চোখ থাকতেও যারা অন্ধ তাদেরকে কোনোভাবেই দেখাতে পারবেন না। যারা নির্বাচন করেছে, নির্বাচনের সাথে ছিলো, সেখানকার ভোটার, প্রার্থী সাক্কু সাহেবসহ সবাই বলছে নির্বাচন খুব ভালো হয়েছে। ফলে, ফখরুল সাহেব ঠাকুরগাঁওয়ে বসে কি বললেন, তা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে, কিছু আসে যায় না।’
এর আগে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামকে তাদের বিএসআরএফ বার্তা প্রকাশের জন্য অভিনন্দন জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, লেখনী মানুষকে সমৃদ্ধ করে এবং আশা করবো এই ফোরাম সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সংগ্রহ এবং পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারের কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি মোতাহার হোসেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাহরাম খানসহ ফোরামের সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
এর আগে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) প্রতিনিধিবৃন্দ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। ডিআই এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চিফ অভ্ পার্টি ডানা ওল্ডস (Dana Olds), সিনিয়র ডিরেক্টর আবদুল আলীম ও আমিনুল এহসান বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চায় আওয়ামী লীগের ভূমিকার নানা দিক নিয়ে মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেন।
বরিশাল মেডিকেল কলেজে বার্ন ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন করা হবে : আবুল হাসানাত
বরিশাল, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, সৌদি অর্থায়নে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন প্রকল্প গ্রহণসহ ব্যাপক আধুনিকায়ন করা হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্না, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, চিকিৎসা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম বড় অর্জন হলো সাফল্যের সাথে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি করোনাকালীন সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান আরো সম্প্রসারণ ও গণমুখী করার পরামর্শ দেন এবং প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নয়নে সম্ভাব্য সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।