এম আর ওয়াসিম ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র করতে আসে এক নারী। তার কাগজ পত্র ও কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করে তার এক সহযোগী সহ পুলিশের হাতে সোপর্দ করে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা। সন্দেহ ভাজন ঐ নারী ভৈরব পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মর্মে ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোমিনুল হক রাজু’র নিকট থেকে সংগৃহিত একটি প্রত্যায়ন পত্র পেশ করে যা অবৈধ প্রমানিত হয়। তাছাড়া আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কাগজ পত্রও জালিয়াতি করে বানানো মনে হলে তার সহযোগী ও ঐ নারী কে ভৈরব থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা।
এসময় ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে সঠিক কোন তথ্য পায়নি। আপাতত তাদের কে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম শফিক মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন কারী হামিদা বেগম ও তার সহযোগী কে আমার সন্দেহ হলে থানায় ফোন করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি। যদি তদন্তে রোহিঙ্গা প্রমানিত হয় তাহলে আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করব। তাছাড়া তাদেরকে আমার নিকট একটি সংঘ বদ্ধ চক্র মনে হচ্ছে। জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই নিখুঁত ভাবে যাচাই বাছাই করা হবে বলেও জানান তিনি।