দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আকাশ দাশ সৈকত

স্বাগতিক নেপিলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানি দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুললে বাংলাদেশের মেয়েরা।

২০২২ সালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশ । সেই প্রতিপক্ষ আর চেনা মাঠে বাংলাদেশ যেন ম্যাচের শুরু থেকে ছিলো অন্যরকম। প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও নেপালের গোলরক্ষককে বোকা বানাতে ব্যর্থ সাবিনা-মনিকারা। ফলে গোলশূন্য ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ করে বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে ।

প্রথমার্ধে গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচে ফিরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫১তম মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে লিড নেন মনিকা চাকমা। সংঘবদ্ধ আক্রমণে তহুরা-সাবিনা খাতুন বল দেওয়া-নেওয়া করছিলেন বক্সের সামনে। জটলার মধ্যে বল পান মনিকা। সেখান থেকে তিনি প্লেসিংয়ে গোল করেন। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ তবে নেপালের ফরোয়ার্ডরা সেটি টিকতে দিয়েছে কেবল ৩ মিনিট। আমিশা কার্কির গোলে স্বাগতিক নেপালও সমতায় ফেরে। মধ্যমাঠ থেকে দারুণ থ্রু পাস ঠেলেন সতীর্থ আমিশাকে। সেখানে বাংলাদেশের ডিফেন্স পরাস্ত হয়। আগুয়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমাকে পরাস্ত করেন আমিশা। ফলে ১-১ সমতা নিয়ে জমে ওঠে সাফের ফাইনাল। স্বাগতিক প্রায় ২০ হাজার দর্শকের উচ্ছ্বাস সেই রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে তোলে।

তবে ম্যাচের শেষ মুহুর্তে আবারও লিড নেয় বাংলাদেশ । ৮২ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্তে থ্রো ইন পায় বাংলাদেশ। মাসুরার থ্রো থেকে বল পান ঋতুপর্ণা চাকমা। দূর থেকে কোণাকুণি এক জোরালো শটে ঋতুপর্ণা গোল করেন। নেপালের গোলরক্ষক বল হাতে লাগালেও সেটি সেকেন্ড বারের ভেতরের অংশে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। দারুণ গোল পেয়ে উৎসবে মাতে বাংলাদেশ।

এরপর আর কোন দল গোল করতে না পারলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলে বাংলাদেশ ।

সর্বশেষ