মনোহরদীতে শিশুকে ভূল চিকিৎসার অভিযোগে ডাক্তারের জরিমানা

মোঃএমরুল ইসলাম,ষ্টাফ রিপোর্টার,নরসিংদীঃ নরসিংদীর মনোহরদীতে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় তিন বছরের এক শিশুর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে শিশুটির মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার(১৮ অক্টোবর) দুপুরে সালিশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক ইবরাহীম এইচ সরকার।

ফাতেমা বেগম উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের দাইরাদী গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী।

অভিযোগে ফাতেমা বেগম জানান,তাঁর তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান ইসরাত জাহান চুলকানি রোগে ভুগছিল। গত ১ এপ্রিল তার চিকিৎসার জন্য মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত মা ও শিশু ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে আনা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ইবরাহীম এইচ সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর সেখানে তাকে চুলকানির চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাপত্রে বিভিন্ন ওষুধসহ ট্রিয়েলন ইনজেকশন (১ এম.এম) লিখে দেন চিকিৎসক। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ইনজেকশন পুশ করার ১৫ দিন পর থেকে শিশুটির শরীরের পেছনের অংশে মাংস কমতে থাকে। কিছুদিন পর মাংস হাড়ের সঙ্গে মিশে যায়।

গত ৯ অক্টোবর শিশুটিকে কিশোরগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহ আলম সরকার রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরবর্তীতে তিনি জানান, ট্রিয়েলন ইনজেকশন পুশ করার কারণে শিশুর শারীরিক অবস্থা এমন হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে।

ফাতেমা আরও বলেন, শুক্রবার এক সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেন ডাক্তার ইব্রাহীম। অথচ গত সোমবার সকালে ডাঃ ইব্রাহিম এইচ সরকারকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি তখন আমাকে অনেক গালাগাল করেছিলেন।

সর্বশেষ