আক্রমণ হলে ‘বিনা দ্বিধায়’ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার: উত্তর কোরিয়া

প্রতিবেশি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে রেকর্ড হারে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

এবার কিম জানিয়েছেন, যদি কোনো দেশ তার দেশে সামরিক হামলা চালানোর চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে কোনো রকম বিনা দ্বিধাই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। শুক্রবার ( ৪ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে।

কিম বলেন, ‘যদি শত্রু রা পিয়ংইয়ংয়ের ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘণ করে হামলার চেষ্টা করে…তাহলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্রসহ দখলে থাকা সব আক্রমণাত্মক শক্তি বিনা দ্বিধায় ব্যবহার করবাে’।

কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পিয়ংইয়ংয়ের পশ্চিমে একটি বিশেষ বাহিনীর সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় কথা এ কথা বলেন কিম।এই সপ্তাহের শুরুতে পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ‘উত্তর কোরিয়ার শাসনের অবসান’ করার হুমকি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিলেন কিম।

ইউন বলেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করে, তবে এটি আমাদের সামরিক বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কোরিয়া জোটের দৃঢ় এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। সেই দিন উত্তর কোরিয়ার শাসনের অবসান হবে’।

কেসিএনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসব মন্তব্যের জবাবে কিম দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাকে ‘পুতুল’ এবং ‘একজন অস্বাভাবিক মানুষ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।  দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই।  তবে দেশটি মার্কিন সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকে।

২০০৬ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। বর্তমানে নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচির জন্য জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্য আনে উত্তর কোরিয়া।  পশ্চিমাদের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে বাড়িয়ে তুলতে আরও বেশি সেন্ট্রিফিউজ তৈরি করছে পিয়ংইয়ং।

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ