মনোহরদীতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী,জুয়াড়ি,চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী ছাত্র-জনতার

মনোহরদীতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী,জুয়াড়ি,চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী ছাত্র-জনতার

নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ২৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খানের সাথে মতবিনিময় করে।

নিরাপদ সড়ক, সড়কে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বন্ধ করা,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবির পাশাপাশি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, জুয়াড়ি এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা।

৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের প্রধান পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। এর আগে রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িত থাকা চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি ছাত্রদের হয়রানি করে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে যারা ছাত্র আন্দোলনে গিয়েছে তাদের এবং পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিগুলো ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান এবং সাবেক এমপি , মাদক ব্যবসায়ীদের ক্ষমতা বলে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল বলে জানা যায়। অপরাধী ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় তাদের ব্যাপারে অভিযোগ করতে মানুষ এতদিন ভয় পেতো।

এদের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে মাদক(ইয়াবা) ব্যবসায়ী চালাকচর বাজারের আবুল কাশেম মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সিএনজি, অটো স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানি, মামলা, হুমকি-ধামকি, থানায় দালালি সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। উল্লেখ্য,আবুল কাশেমের বাবা দুদু মিয়া এলাকায় প্রসিদ্ধ গাঁজা ব্যবসায়ী।

সে সরকার পতনের আগে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান এবং হয়রানি করেছে।তার বিরুদ্ধে আগেও মামলা ছিল এবং কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছে বিভিন্ন সময়।
ক্ষমতাসীন দলের এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল এতদিন। তার অপকর্মে এলাকাবাসী  অতিষ্ঠ, তাকে গ্রেফতারের এবং আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ছাত্র-জনতা, এলাকাবাসী।

তাছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন জুয়াড় এজেন্ট রয়েছে এলাকায়, যাদের কারণে তরুণ এবং যুব সমাজ নষ্ট হতে চলেছে। তাদের কেউ আইনের আওতায় আনা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।

সর্বশেষ