শতকোটি টাকার মালিক প্রতারক প্রকৌশল দম্পতি এমপি ড.ইন্জি: মাসুদা সিদ্দিক এবং স্বামী এম.এম সিদ্দিক

ইন্জিনিয়ার মাসুদা সিদ্দিক রোজী এমপি এবার দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত সাবেক এমপি। নরসিংদী ;গাজীপুর আসন থেকে কিছু দিন আগে ই হয়েছেন সংরক্ষিত এমপি। যদি ও তাকে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা রা ই ভালো ভাবে চেনেন না। উনার পৈত্রিক নিবাস নরসিংদী। পেশায় একজন প্রকৌশলী। স্বামীর বদৌলতে ই মূলত তার অঢেল অবৈধ সম্পদ। টাকার জোরে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘদিন রিহ্যাব এর সঙ্গে জড়িত। মূলত তিনি এবং তার স্বামী ভূমিদস্যু ;অবৈদ ভাবে দখল নিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে বা তাদের সন্ত্রাসী কাজগুলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্কের জোড়ে মানুষ কে হয়রানি করেছে।

সাবেক এমপি রোজী র স্বামী পিডিপি চীফ ছিলেন। স্বামী ইন্জিনিয়ার এম.এম. সিদ্দিকের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি। আগে পরে কখনো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী ছিলেন না। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে তিনি পদ্মার ঐপাড়ের মানুষ এবং আমির হোসেন আমু কে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে পিডিবির চীফ হোন। আর পেছনে ফিরতে হয় নি এ দম্পতির । গ্রামের রাজবাড়ী ছোট্ট শহরে রয়েছে ১৬তলা বিল্ডিং। আমুর সাহায্যে এবং পিডিপি ‘র চীফ হওয়ার কারনে স্বামী স্ত্রী মিলে গণভবনে যাতায়াত টা খুব ভালো রপ্ত করেছিলেন।
পিডিপি র দপ্তরে অজস্র দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সাবেক এমপি রোজীর স্বামীর বিরুদ্ধে।
চাকরির তদবির বানিজ্য করে অসংখ্য লোককে টাকার বিনিময়ে চাকরি তে বসিয়েছেন। নিজের বিরুদ্ধে বা সৎ মানুষ কে হয়রানি করেছে অনেক।

ঢাকা ;গাজীপুর ;মানিকগন্জ ;
নারায়ণগন্জ ;রাজবাড়ী ;ভাঙ্গা ; বরিশাল ;পটুয়াখালী সহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তাদের অবৈধ সম্পদ ;স্থাপনা।।

রাসা কনস্ট্রাকশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (নিকুঞ্জ -২ এ মেইন অফিস) রয়েছে। এ রাসা কনস্ট্রাকশন সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম । কারন লীগের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের জমি ভয়ভীতি দেখিয়ে দখলে নিয়ে নিজেদের নামে করে নিতেন এরা।। এবং এমপি রোজী র এসব দখলবাজী এবং কনস্ট্রাকশন এর সাইট দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী । এদের অস্ত্রের ভয়ে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খোলতেন না।

সাবেক এমপি রোজী ,মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী মেহের চুমকি কে পাঁচকোটি টাকা উপহার হিসেবে দিয়েছেন বলে ও চর্চা রয়েছে। এমপি টেন্ডার বানিজ্য সহ বিভিন্ন রকমের সরকারি প্রকল্পের কাজগুলো সরাসরি তদবির করতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী র মাধ্যমে।। শ্বশুরবাড়িটা রাজবাড়ী হওয়ায় শেখ পরিবারের আত্নীয় বা নিকট আত্নীয় বলে ও পরিচয় দিতেন।
এতে সবার কাছে এক আতঙ্কের নাম এমপি রোজী দম্পতি ।।

সাবেকএমপি রোজীর নিকুন্জ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকের।। যুবলীগ নেতা এমপি রোজী র প্রতিবেশী ইন্জিনিয়ার জাহান সহ তাদের একটা দখলবাজীর টীম রয়েছে। এরা আবার যুবলীগ নেতা নিখিলের সঙ্গী। কিন্তু মহিলা মাফিয়া ইন্জি: রোজী সাবেক প্রধানমন্ত্রী র সঙ্গে গণভবনের ছবি দেখিয়ে ই সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এবং এদের ও বিভিন্ন তদবির ও ঠিকাদারি কাজের সহায়তা করতেন।

সাবেক এমপি রোজী দম্পতির অবৈধ হিসাব দুদকে রয়েছে।। আয় বহির্ভূত সম্পদের কারনে গত কয়েক বছর ধরে ই গোয়েন্দা নজরদারি তে রয়েছে। কিন্তু দুদক এবং প্রশাসন কে নাকি তারা টাকা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
তাই দুদকের মামলা থাকা স্বত্বেও দ্বাদশ সংসদে অবৈধ সরকারের অবৈধ এমপি হয়েছেন তিনি।

ঢাকার নিকুঞ্জ তে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। এছাড়া মানিক গন্জ; নারায়ণগঞ্জ ;গাজীপুরেও রয়েছে এ দম্পতির অজস্র সম্পদ।। নামে বেনামে ও রয়েছে ।গাজীপুরে এ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নামে ও এ দম্পতির অবৈধ সম্পদ রয়েছে।।

দেশে অবৈধ ভাবে তৎকালীন সরকারের প্রভাব খাটিয়ে এবং পিডিবি র চীফ হওয়ার বদৌলতে শত শতকোটি টাকা কামিয়েছেন। রাসা কনস্ট্রাকশন এর মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট এবং ল্যান্ড ব্যবসার নামে করেছেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম।

টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সংগঠনের পদ পদবী নিয়েছে রোজী দম্পতি । এবং নারী সাপ্লাই ;দামী উপহার দিয়ে বিভিন্ন সচিব ; এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাতে রাখতেন।
শুধু তাই নয় রাজবাড়ীর সাবেক ডিসি কে নিকুঞ্জ -২ এ একটা ফ্ল্যাট ও গিফট করেন এমপি রোজী দম্পতি । কারন তাদের রাসা কনস্ট্রাকশন রাজবাড়ী তে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং রাজবাড়ি ;ফরিদপুর ;ভাঙ্গা সহ আরো কয়েকটি স্থানে নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে । যার জায়গা গুলো বেশিরভাগ ই সরকারের খাস জমি এবং অবৈধ ভাবে দখল করা।

রোজী দম্পতি নিজেরা মাঠের রাজনীতি তে খুব বেশি সময় দিতে পারেন নি। কিন্তু রাজনৈতিক সকল প্রোগামের ভালো মানের ডোনার। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে ১০কোটি টাকা দিয়ে সাভারে করেছেন আরো একটা প্রকল্প। সাবেক এমপি গায়িকা মমতাজ কে উপহার দিয়েছেন একটা রেস্টুরেন্ট। যার বিনিময়ে মানিক গন্জে চলমান রয়েছে আরো একটা প্রজেক্ট । সরকারের জমি দখল করে সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান করার নামে জায়গা বরাদ্দের নামে করেছেন ব্যক্তিগত প্রতিস্ঠানের নামে বিশাল বিশাল বিল্ডিং এবং গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছেন ফ্ল্যাট । রমরমা মোটা অংকের টাকার বিজনেস ।

এসব অপকর্মে তাদের গডফাদার আমির হোসেন আমু ।। এমপি রোজী র স্বামী পিডিপি র চীফ এম এম সিদ্দিকের রয়েছে বালু উত্তোলনের ড্রেজার। এটাও তাদের অবৈধ ব্যবসা। এসব সব ব্যবসার পেছনে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আমুর হাত। বালু সিন্ডিকেট এবং বালু উত্তোলনের মাধ্যমে কামিয়েছেন অনেক টাকা। রাজবাড়ী ;নারায়ণগঞ্জ সহ বেশ কিছু স্থানে ইন্জিনিয়ার সিদ্দিকের মেশিন ;জাহাজ সহ কনস্ট্রাকশন সামগ্রী রয়েছে ।

রোজী দম্পতি নিজেরা ও জানে না কতো অবৈধ টাকার মালিক নিজেরা তবুও লোভ থামে না।। এবং এদের জাপান এবং কানাডায় রয়েছে অবৈধ সম্পদ । এবং গত কয়েক বছরে দেশ থেকে রোজীর ই আপন ভাই জাপানের পাসপোর্টধারী ড: মইনুল এর মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে জাপানে এবং কানাডায়। কানাডায় বাড়ি ও বানিয়েছেন রোজী দম্পতি। সেখানে সব সম্পদ রোজী র ভাইবোন এবং বিশেষ করে মইনুলের নামে করেছেন। ড.মইনুল ভূঁইয়া (TZ1077610
Passport number -জাপান পাসপোর্ট) বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কিন্তু পরিবার সহ বেশ কয়েক বছর ধরে কানাডায় ই থাকেন। রোজী দম্পতি র সম্পদ বেশিরভাগ রোজীর সহোদর মইনুলের নামেই রয়েছে। রোজীর অন্য ভাইবোনের নামে ও রয়েছে। তবে সকল অপকর্মের সঙ্গী বা ক্রাইম পার্টনার হলো ড.মইনুল। এর ও রয়েছে পৃথক আমলনামা ।

রোজী দম্পতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে খুশি করতে ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তরা ট্রাজেডির দিন ডিবি হারুনের সহযোগিতায় রাস্তায় নামিয়েছিলেন সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীদের। এবং ক্যাডার সঙ্গে লেনদেন এবং নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ই কানাডা থেকে দেশে আনিয়েছিলেন ছোটোভাই মইনুল ভুঁইয়া কে। এবং মইনুল এবং রোজী দম্পতির অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর নেতৃত্ব দেয় আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী বরিশাল পটুয়াখালীর আরেক বাটপার যে ছাত্র আন্দোলনের সময় বিটিভি ভবনে ভাঙচুর করে মূলত লীগের যে টীম তার প্রধান মানিক।। মানিকের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। কিন্তু এমপি রোজী র অবৈধ কারখানা রয়েছে ভাটারা থেকে সামনে আহমেদ বাগ। ঐটা মানিকের নামে হলে ও কারখানা টি মূলত রোজী দম্পতির। কারখানার বাইরে সাইনবোর্ডে মদিনা এন্টারপ্রাইজ লেখা রয়েছে ।। মানিকের কাজ হলো বরিশাল সহ বিভিন্ন স্থান থেকে লেবার বা সন্ত্রাসী কাজে কর্মী সাপ্লাই দেয়া । এরা ই উত্তরা তে গোলাগুলির সময় অস্ত্র হাতে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলে পরেন।

সব লীগ নেতা কর্মী রা পলাতক থাকলে ও রোজী দম্পতি নিকুঞ্জ বাসা তে ই রয়েছে। এবং যোগাযোগ করা হলে দম্ভ সহকারে ই জবাব দেন বাংলাদেশে টাকা থাকলে নাকি সকল কিছু ই ধামাচাপা দেয়া যায়।। এবং রাসা কনস্ট্রাকশন আগে যেভাবে ব্যবসা করতো ঠিক সেভাবেই করে যাবে বলে রোজী দম্পতি আশাবাদী । বিভিন্ন মামলা হামলায় সন্ত্রাসী সাপ্লাই দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুনজর পাওয়ার আশায় সব করেছিলেন। দরকার হলে বর্তমানে ও নাকি সেভাবে থাকবে যেখানে থাকলে তাদের ব্যবসা চলবে।।

সর্বশেষ