গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না.. বলা সেই পুলিশ কর্মকর্তা ডিবি হেফাজতে

গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না.. বলা সেই পুলিশ কর্মকর্তা ডিবি হেফাজতে

দেশে অভ্যুত্থান সময়ে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীর বিশেষ করে পুলিশের নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতার লাশ ফেলার মতো ভয়ংকর ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য –
‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে, স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই।
ভিডিওটি দেখানোর সময় সেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ইকবাল হোসেন ডিএমপি ওয়ারী বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা তার আওতাধীন ছিল। জানা যায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আর কর্মস্থলে যাননি। ডিবি হেফাজতে নেয়ার আগে তাকে তার নিজ গ্রাম পীরপুর,মনোহরদী নরসিংদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং এলাকায় সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিতি। কিন্তু এই ভিডিও দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এদিকে, এই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে এই গণহত্যার সাথে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
কেউ কেউ ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেই পুলিশ/ব্যক্তিকে কে যিনি এই ভিডিওটি করেছেন এবং ফেসবুক এ দিয়েছেন এবং এটা একটা সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে অপরাধ সনাক্তকরণ এবং বিচার করার ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, ইকবাল হোসাইন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৭তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ২০০৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন তিনি।

সর্বশেষ