ভৈরবে সেনা হেফাজতে থাকা অস্ত্র সমূহ থানায় হস্তান্তর

এম আর ওয়াসিম ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত ৫ জুলাই বৈশম্য বিরোধী আন্দোলন কে ঘিরে কতিপয় দুষ্কৃতি কারী লোক নাজমুল হাসান পৌর পার্কে আগুন দিয়ে ভৈরব থানা ঘেরাও করে থানার ভিতরেও আগুন লাগিয়ে দেয় এবং থানা ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এই সুযোগে কতিপয় দুষ্কৃতি কারী থানার ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙ্গে অস্ত্র সহ থানার ও পুলিশ সদস্য দের অতি প্রয়োজনীয় নতি পত্র, টাকা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু নিয়ে আসে। উপায়ান্তর না পেয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ভৈরব সেনা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা আফরিনকে ভয়াভহ পরিস্থিতির কথা অবগত করেন। পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা আফরিন এর নির্দেশে মেজর সানজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল সেনা বাহিনীর টিম থানায় গিয়ে ছাত্রদের সহযোগিতায় থানায় কর্তব্যরত সকল সদস্যদের কে নিরাপদে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পাশাপাশি থানার অস্ত্রগার থেকে অস্ত্র গুলো সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। আজ ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় হাজী আসমত কলেজে সেনা বাহিনীর ক্যাম্পে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা আফরিন।

এবিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর সাজিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ১০০% অস্ত্র উদ্বার করতে পারিনি এখনো।কারন অনেক পুলিশ সদস্য তাদের অস্ত্র লকারে বা তাদের ট্রাংকের ভিতর রেখেছিল যা আমরা চলে আসার পর লুটপাট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। আবার অনেকে স্বচ্ছায় এসেও অস্ত্র জমা দিয়ে গেছেন বলেন জানান তিনি।
এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন থানা থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া অস্ত্র ও আনুষাঙ্গিক জিনিস পত্র যদি স্বেচ্ছায় জমা দিয়ে যায় তাদের সাথে অবশ্যই সদয় ব্যবহার করা হবে। আর যদি তা না করে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিভিন্ন

থানার অস্ত্র হস্তান্তরের সময় সাংবাদিকদের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা আফরিন বলেন প্রত্যক থানার অফিসার ইনচার্জ গণ কে ডেকে এনে তাদের নিজ নিজ থানার উদ্ধারকৃত অস্ত্র হস্তান্তর করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আরো কিছু অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি বা পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অস্ত্র হস্তান্তর শেষে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ভৈরব পৌর স্টেডিয়ামে অস্থায়ী ভাবে ক্যাম্প করে কিছু কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছি। খুব শীঘ্রই আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। আপাতত অস্থায়ী ক্যাম্পে অতি প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করছি আমরা।

সর্বশেষ