মুশফিক মান্নানের বিটিআরসিতে পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত মুশফিক মান্নান চৌধুরীর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন নিয়ে সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। তাই তাকে বিটিআরসির কমিশনার হিসেবে দেখতে চান না সংস্থাটির অনেকে।

এছাড়া আন্দোলনের সময় সারাদেশ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে বিটিআরসি জনরোষের শিকার হয়। এজন্য তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক এবং বিটিআরসির মুশফিক মান্নানসহ অনেকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তাদের অধিকতর তদন্তের আহ্বান।

২০২৩ সালে কমিশনার হিসেবে বিটিআরসিতে যোগদান করেন মুশফিক মান্নান। তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য। তার বাবা আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও মা মোরশেদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়টির উপচার্য ও ট্রেজারার।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী ট্রেজারার পদের জন্য যে যোগ্যতা থাকা দরকার, মোরশেদা চৌধুরীর তা নেই। মাস্টার্সে তিনি তৃতীয় শ্রেণি পেয়েছেন এবং দূর শিখন পদ্ধতির মাধ্যমে অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। কিন্তু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ও অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়। এই অনিয়মের বিষয়ে ইউজিসি একাধিকবার তদন্ত করেছে। তদন্তে মোরশেদা চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি উঠে এসেছে। আর বিশ্ববিদল্যায়ের অনিয়ম রোধে একাধিক সুপারিশও করে ইউজিসি।

মূলত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ মুশফিক মান্নান নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তিনি শুক্র ও শনিবারে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যান এবং সেখান থেকে তিনি সব মূল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।

শেখ হাসিনা সরকারের সাথে ঘণিষ্ট সর্ম্পক থাকায় এসব অনিয়ম করে পার পাওয়া গেছে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

মুশফিক মান্নানের বাবা আব্দুল মান্নান চৌধুরী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একজন সদস্য। তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা সময় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্ররা নানা অভিযোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনিসপত্র ক্রয়ের নামে টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়েও তদন্তের দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে।

সর্বশেষ