গ্রামীণ ব্যাংকের যোনাল অফিস নারায়ণগঞ্জে কর্মী নির্যাতনের জন্য যোনাল ম্যানেজারের নেতৃত্বে স্থাপন করা হয়েছিল গোপন টর্চার সেল

গ্রামীণ ব্যাংকের যোনাল অফিস নারায়ণগঞ্জে কর্মী নির্যাতনের জন্য যোনাল ম্যানেজারের নেতৃত্বে স্থাপন করা হয়েছিল গোপন টর্চার সেল

নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্রামীণ ব্যাংক, নারায়ণগঞ্জ যোনের যোনাল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন মোঃ আব্দুস সবুর খান। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের স্বৈর-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ (বর্তমানে পলাতক) এর একান্ত আস্থাবাজন ও বিশ্বস্ত স্বৈরসৈনিক যিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি তে অর্থ যোগানদাতা সদস্য, তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, পরবর্তীতে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয়ের (বর্তমানে পলাতক) একান্ত বিশ্বস্ত হওয়ায় তিনি বেশিরভাগ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলায় কর্মরত ছিলেন ও আছেন। প্রধান কার্যালয় থেকে পদোন্নতি নিয়ে তিনি স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয়ের (বর্তমানে পলাতক) এর সাথে আঁতাত করে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর যোনের শ্রীপুর এরিয়ায় এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে পোস্টিং নেন। উনার দায়িত্বকালীন সময়ে এরিয়ায় একাধিক শাখায় মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনা ঘটে । শোনা যায় যে, আত্মসাৎ কৃত টাকার একটা মোটা অংশ তিনি স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয় (বর্তমানে পলাতক) কে ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন এতে স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয় (উনাকে খুশি হয়ে ঢাকার পার্শ্ববর্তী অন্য আরেকটি জেলা নরসিংদী যোনের যোনাল অডিট অফিসার হিসেবে পদোন্নতি দেন। পরবর্তী তিনি স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয় (বর্তমানে পলাতক) কে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয়ের বিশেষ কৃপায় তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের “মাতৃযোন” হিসেবে খ্যাত চিটাগাং যোনে যোনাল ম্যানেজার হিসেবে অসময়ে সিনিয়রদের ডিঙিয়ে পদোন্নতি লাভ করেন।

প্রায় ছয় মাসের মধ্যে স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয় (বর্তমানে পলাতক) কে উনি ম্যানেজ করে ঢাকার নিকটবর্তী সবোর্চ্চ লাভজনক যোন “পিতৃযোন” হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ যোনের যোনাল ম্যানেজার হিসেবে পোস্টিং নেন।

স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে সখ্যতার কারণে তিনি নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্য শুরু করেন যাতে তিনি নিজে ও স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয় (বর্তমানে পলাতক) উভয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়।

নারায়ণগঞ্জ যোনে পোস্টিং নেওয়ার পর থেকে তিনি মোটা অংকের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে সহকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে।

তিনি যোনের ভিতর বদলি ও পোস্টিং বাণিজ্য চালু করেন।

তিনি স্বৈর-চেয়ারম্যান মহোদয়ের দাপটে সহকর্মীদের সর্বদাই Termination (বিনা পেনশনে চাকুরীর অবসান) করার ভয় দেখাতে শুরু করেন এবং নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া শুরু করেন।

ম্যানেজারকে সেকেন্ড ম্যানেজার কিংবা কর্মী হিসেবে পোস্টিং দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করা শুরু করেন।।

তিনি পলাতক সদস্য কিংবা দেউলিয়া সদস্যের কিস্তি আদায়ের জন্য সহকর্মীদের অনৈতিক কাজ তথা সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ করতে বাধ্য করতেছেন।

তিনি ড্রপ গোপন করতে বিভিন্নভাবে সহকর্মীদের মানসিক নির্যাতন করে চলছেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ অনিয়মিত ঋণ আদায়ের জন্য উনি সহকর্মীদের সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ করতে সর্বদা বাধ্য করেন।

তিনি সারা মাসের পরিকল্পনা মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সহকর্মীদের নানাভাবে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করতেছেন।

তিনি সহকর্মী (নারী-পুরুষ) উভয়ের সাথে অত্যন্ত নিকৃষ্ট নিম্নমানের ভাষায় কথা বলেন। সবাইকে তিনি সর্বদা হুমকি ধামকির মধ্যে রাখেন। কথায় কথায় গভীর রাত্রে অফিসে নিয়ে নির্যাতনের হুমকি দেন।

তিনি যোনের ভিতর কোন যাচাই-বাছাই ছাড়া সদস্য ভর্তি ও ভর্তির দিনেই সদস্যের ঋণ বিতরণের মাধ্যমে ঋণী বৃদ্ধি করতে বাধ্য করেন। যাতে তিনি শ্রেষ্ঠ যোনাল ম্যানেজার হিসেবে স্বীকৃতি ধরে রাখতে পারেন।

সহকর্মীদের মাত্রারিক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও হঠাৎ বিভিন্ন অপরিকল্পিত কর্মসূচি চাপিয়ে দেন। পরিকল্পনা/ কর্মসূচি ১০০ পারসেন্ট বাস্তবায়ন করতে না পারলে তিনি কর্মীদের (কেন্দ্র ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে শাখা ব্যবস্থাপক পর্যন্ত) গভীর রাতে যোনাল অফিসে নিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। কারো কারো কাছ থেকে তিনি তার সিন্ডিকেটের (কতিপয় এরিয়া ম্যানেজার ও প্রোগ্রাম অফিসার) মাধ্যমে নগদ অর্থ আদায় করেন।
অন্যদিকে আবার কারো কারো সাথে তিনি “বিকৃত সমকামী যৌনাচারের কু-প্রস্তাব” দেন। উনার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মান ইজ্জত বাঁচাতে বিশাল সংখ্যক নতুন ও পুরাতন সহকর্মী (কেন্দ্র ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে শাখা ব্যবস্থাপক পর্যন্ত) অসময় চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে কিংবা স্বেচ্ছায় পেনশনের আবেদন দিচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন ।

গভীর রাতে উনার কার্যালয়ের টর্চার সেলের অত্যাচার সংক্রান্ত উনার একটি ভয়েস রেকর্ড এসেছে Voicebd24.com এর কাছে।

যেখানে দেখা যাচ্ছে যোনাল ম্যানেজার মোঃ আব্দুস সবুর খান কোন এক সহকর্মী (খুব সম্ভবত মহিলা সহকর্মী) কে বলতেছেন,

“বেশি পন্ডিত হয়ে গেছেন না, লেবু চিপায়ইয়া চিপায়ইয়া রস বের লেবুর খোসাটা ফালাইয়া দেবো কিন্তু।। আবারো বলে দিচ্ছি, লেবু চিপায়ইয়া চিপায়ইয়া রস বের লেবুর খোসাটা ফালাইয়া দেবো। ………… (নিকৃষ্ট ভাষা প্রচারযোগ্য নয়)…… সে দিন একজনকে রাতে এনে বসিয়ে রেখেছিলাম রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত। রাত ১১.০০ টার পরে কথা বলছি তার সাথে যেন শাখায় যেতে তার কষ্ট হয়, যেন মনে থাকে এজন্য ১১.০০ টার পর তাকে ছেড়ে দিছি। আপনাকে ডাকবো রাত ১১.০০ টায় ছাড়বো রাত ১২.০০ টায়। শাখায় যেতে যেতে যেন বাজে রাত ২.০০ টা, টের পাবেন আপনি। কথায় ধরে না, কানে ধরে না কথা, কানের মধ্যে কিন্তু গরম-সিক দিয়ে কথা কথা ঢুকাবো কিন্তু আমি। ফাজলামি করেন, আরামে বসে আছেন তো, আমি কিন্তু আরাম ছুটাইয়া ফেলতে পারি। একদম উঠাইয়া নিয়ে আসবো রাত

সর্বশেষ