কন্যার প্রস্তাবের জবাব ৫৫ বছর আগেই দিয়ে গেছেন পিতা

কন্যার প্রস্তাবের জবাব ৫৫ বছর আগেই দিয়ে গেছেন পিতা

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমানে সর্বস্তরের সর্বসাধারণের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। যুক্ত হয়েছেন সকল পেশাজীবির মানুষজন। ৯ দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করে ডাক দেয়া হয়েছে ১ দফার তা হলো সরকারের পদত্যাগ। এই ১ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ। ফলস্বরূপ সরকার এখন ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতারকৃত সকল ছাত্রদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।  বলেছেন তিনি ছাত্রদের সাথে আলোচনায় বসতে চান, তিনি আর সহিংসতা চান না। ছাত্ররা তার দাবি সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন ”  সহিংসতার চরম পর্যায়ে গিয়ে হাজার হাজার ছাত্রদের হত্যা করে, দেশে গণহত্যা চালিয়ে, ১২ হাজারের বেশী শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে, ক্ষমতা সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।

প্রধানমন্ত্রী আজকে বলছেন তিনি সহিংসতা চান না। মানে তিনি কি এখনো জাতির সাথে মশকরা করছেন!”

এছাড়াও গণভবনে আলোচনা ব্যাপারে শিক্ষার্থীগণ জানান, “আলোচনার সকল রাস্তা বন্ধ। আর কোনো আলোচনা নয় এখন শুধুই পদত্যাগ”।

১৯৭১ এর প্রেক্ষাপটে প্রস্তাব ও তা প্রত্যাখ্যান।

১৯৭১ তৎকালীন দেশে চলমান আন্দোলন  ও ১৯৭০ সালে নির্বাচনে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, দেশের মানুষের উপর ইয়াহিয়া খান সরকারের জুলুম নির্যাতন দিন দিন যখন বাড়তে থাকে, আন্দোলনরত জনতাকে হত্যা করতে থাকে রাজপথে,  তখন দেশের সকলস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

*  ঠিক এমনটাই দেখা যাচ্ছে ২০২৪ আন্দোলন সকলের অংশগ্রহণ।

*ইয়াহিয়া সরকার চাপের মুখে পড়ে বঙ্গবন্ধু সহ শীর্ষনেতাদের সাথে আলোচনা বসতে চান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চাপের মুখে পড়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন, ঠিক যেমটা চেয়েছিলেন পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান।

*শেখ মুজিব রহমান তার ৭১ মার্চের ভাষনে এ আলোচনার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আলোচনার সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

ঠিক যেমনটা বলছেন ২০২৪ সালে আন্দোলনরত ছাত্রজনতা।

এখানে শেখ হাসিনার প্রস্তাব ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কি সিধান্ত ও উত্তর দেয়া উচিৎ  তা ৫৫ বছর আগেই তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান বলে গেছেন এবং দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। ইতিহাস বার বার ফিরে আসে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তারই যেন বাস্তব প্রতিফলন এখানে।

সর্বশেষ