তবে কি শিক্ষার্থীদের হত্যা করতে পুলিশের পোশাকে নামানো হচ্ছে ভারতীয় খুনিদের? 

গতকাল সারাদেশ ব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষে রাজপথে অবস্থান করেন। শিক্ষার্থীদের এই  আন্দোলন রুখে দিতে বর্তমান সডকার তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করেন। দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেন ও কার্ফিও জারি করেন তারপরও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি থেকে পিছু হটে না ও আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত হয় দেশের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ কবি, গায়ক, শিক্ষক, শিল্পি আভিনেতা, পরিচালক, দোকানদার, রিক্সাওয়ালা সহ অনেকে। গতকাল উত্তরা ১১ নং সেক্টরে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা।  পুলিশ হাঠাৎ উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ রাবারবুলেট এর পরিবর্তে প্রাণঘাতী রেসোল্ট বুলেট ব্যবহার করেন বিভিন্ন তথ্য ও ভিডিও এর মাধ্যমে জানা যায়। এছাড়াও পুলিশ গুলি চালানোর সময় নাকি হিন্দিতে কথা বলতেছিলো এরকম দাবি করে অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়াও দেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ইত্যেফাক একটি ভিডিও প্রকাশ করে যেখানে কিছু পুলিশকে হিন্দিতে কথা বলতে বলতে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তবে কি বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন রুখে দিতে চাচ্ছে? দেশের ভবিষ্যৎ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হত্যাকরার জন্য কি ভারতীয় বাহিনী নিয়ে আসছে বর্তমান সরকার? সকলের মাঝে একধরনের উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, ৩০ লক্ষ প্রাণের বিমিময়ে অর্জন দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব তুলে দিচ্ছে ভারতের হাতে এ সরকার?

নিজ দেশের মেধাবীদের হত্যা করতে ভাবতীয় খুনিদের পুলিশের পোশাক পড়িয়ে রাস্তায় নামানো দেশের সার্বভৌমত্বের সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং পুলিশ বাহিনী ঘৃণ্য একটি কাজ বলে দেশের জনগণের কাছে বিবেচিত হবে।

শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবি প্রত্যাখান করে ১ দফার ডাক দিয়েছেন। আগামী ৪ আগষ্ট দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। সকল নিরাপরাধ শিক্ষার্থীর হত্যার বিচার, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীগণ।

সর্বশেষ