ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’, দেশের বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি আজ রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এটি দেশের ১১ জেলায় আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি’।

তবে গভীর সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ যে ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা দিচ্ছে তা জানা যায় আবহওয়ার পূর্বভাসে। মিধিলি নামে এই ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। যার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি সারাদেশে শীত নামিয়ে আনতে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা। তিনি জানান, নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার পর কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ মাসের শেষ দিকে আবার একটি নিম্নচাপ হতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৭) বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তাহলে নাম হবে ‘মিধিলি’। মিধিলি নামটি মালদ্বীপের দেওয়া। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এর তীব্রতা খুব বেশি হবে না। অল্পসময়ের মধ্যে লঘুচাপ, লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

 

সর্বশেষ