PES 2013 Download for Windows 7/8/10/11 - PES2013

Download PES 2013 for Windows 7/8/10/11 and dive into the exciting world of soccer with PES2013. Experience realistic gameplay and enhanced football simulation.
Get it now for FREE !

Pes 2013 Download
যশোর-২চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনে নৌকার দলীয় টিকিট নিয়ে আলোচনার ঝড়

মোঃ আরিফুল ইসলাম, (যশোর)প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় টিকিট তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এবার নৌকার প্রার্থী কি অচেনা প্রার্থী হবেন নাকি দলীয় পদে থাকা ও রাজপথে থাকা লড়াই সংগ্রামে অংশ নেয়া নেতারা হবেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির পরপরই এ আসন জুড়ে চলছে এমন আলোচনা ও সমালোচনা। ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে যশোর-২ আসনের দুটি উপজেলার দেড় ডজন প্রার্থী ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে প্রার্থীদের আমলনামা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন অনেক প্রার্থী।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই যশোর-২ আসনে নড়েচড়ে বসেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শনিবার থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম বিক্রির ঘোষণার সাথে সাথে প্রার্থীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন।

বিভাগীয় নেতৃবৃন্দদের আশ্বাসে গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রমে মাঠে ছিলেন। তারই অংশ হিসেবে গণসংযোগের ছবি, স্মার্ট কার্যক্রমের ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে দলীয় টিকিটের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন প্রার্থীরা। যদিও আগেভাগেই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, দলীয়ভাবে গোপনীয় তথ্য ও প্রার্থীর আমলনামা দলীয় সভানেত্রীর হস্তগত হয়েছে। সেই আমলনামার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যার জনসমর্থন আছে, ক্লিন ইমেজে যে এগিয়ে থাকবেন তাকেই দলীয় টিকিট দেয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সূত্র জানিয়েছে। তবে কেউ কেউ নিজের আমলনামা নিয়ে শংকিতও রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট আসনের কয়েকজন প্রবীণ ভোটাররা জানান, জনগণের সাথে যার সম্পর্ক আছে। দলীয় কর্মকান্ডে যার অবদান রয়েছে তাকে প্রার্থী করলে ভোটারদের মাঝে স্বস্তি আসবে। কয়েকজন নতুন ভোটার জানান, প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক বিদ্যমান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে তেমন প্রার্থী তারা আশা করেন।

সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রার্থীরা নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশেপাশের হোটেলে অবস্থান করছেন। নিজের পক্ষে দলীয় টিকিট পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন বোর্ডের বিভিন্ন নেতার সাথে সংযোগ স্থাপন করছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে স্ব-স্ব প্রার্থীর নাম যাতে থাকে সেই চেষ্টাও করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
দলীয় ও বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক সূত্র জানায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দীন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসানুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী রায়হান, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ড. মোস্তানিছুর রহমান, বেপজার সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) হাবিবুর রহমান খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কামাল হোসেন, ডাক্তার তৌহিদুজ্জামান, ঝিকরগাছা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গিলবাট নির্মল বিশ্বাস, ঝিকরগাছার লন্ডন প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করবেন। উল্লেখিতদের মধ্যে শনিবার সম্ভাব্য একজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের ফরম ক্রয় করেছেন বলে ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে।

একাধিক সূত্র জানায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রায় এক বছর ধরে চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভার গ্রাম, পাড়া, মহল্লা ও হাটবাজারে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। এবার নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল ছিল অনেকটা ভিন্ন। তারা সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে পুনরায় নৌকায় ভোট দেবার আহবান জানিয়ে গণসংযোগ করেন। জনগণের নিকট বিতরণ করেছেন লিফলেট। গণসংযোগের ধরনও ছিল ভিন্ন। বিগত সময় গণসংযোগ হলে পূর্ব থেকে জানানো হতো। সেখানে কর্মী সমার্থকরা জড়ো হতেন। এসবের মধ্যে আরো কিছু যুক্ত হয়েছে বলে অনেকে জানান।
প্রার্থীরা ভোটারের কর্মস্থল মাঠ, হোটেল, রেস্তোরা এমনকী চায়ের দোকানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে গণসংযোগ করেন। নিজেরাই কথা বলেন ভোটারের সাথে আর সেই কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করেন। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই উন্নয়নের বার্তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহ্বান করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় নেতৃবৃন্দদের আশ্বাসে গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রমে মাঠে ছিলেন। তারই অংশ হিসেবে গণসংযোগের ছবি, স্মার্ট কার্যক্রমের ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে দলীয় টিকিটের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন প্রার্থীরা। যদিও আগেভাগেই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, দলীয়ভাবে গোপনীয় তথ্য ও প্রার্থীর আমলনামা দলীয় সভানেত্রীর হস্তগত হয়েছে। সেই আমলনামার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যার জনসমর্থন আছে, ক্লিন ইমেজে যে এগিয়ে থাকবেন তাকেই দলীয় টিকিট দেয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সূত্র জানিয়েছে। তবে কেউ কেউ নিজের আমলনামা নিয়ে শংকিতও রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট আসনের কয়েকজন প্রবীণ ভোটাররা জানান, জনগণের সাথে যার সম্পর্ক আছে। দলীয় কর্মকান্ডে যার অবদান রয়েছে তাকে প্রার্থী করলে ভোটারদের মাঝে স্বস্তি আসবে। কয়েকজন নতুন ভোটার জানান, প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক বিদ্যমান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে তেমন প্রার্থী তারা আশা করেন।

 

সর্বশেষ