PES 2013 Download for Windows 7/8/10/11 - PES2013

Download PES 2013 for Windows 7/8/10/11 and dive into the exciting world of soccer with PES2013. Experience realistic gameplay and enhanced football simulation.
Get it now for FREE !

Pes 2013 Download
জবিতে জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়র কর্মকর্তাকে অপদস্থ করার অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের উপ-পরিচালক হিমাদ্রি শেখর মন্ডল কে জুনিয়র কর্মকর্তা কর্তৃক অসৌজন্যমূলক আচরণ দ্বারা অপদস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার একই দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হিমাদ্রি শেখর মন্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের ১৩০৪ রুমটি খালি হয়েছে শুনে এ. কে. এম. কামরুজ্জামান, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১)-কে সাথে নিয়ে দেখতে যাই। রুমে গিয়ে দেখি জনাব মাসুদ আক্তার, সহকারী রেজিস্ট্রার চেয়ার টেবিল সাজিয়ে বসে আছে। আমি প্রথমে সালাম বিনিময় করে জিজ্ঞাস করি আপা আপনি যে এই রুমে বসেছেন তার কোন অনুমতি নিয়েছেন। তার প্রতি উত্তরে সে বলে নায়লা আপা আমাকে রুম দিয়ে গেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি নায়লা আপা কি রুম দিতে পারে? আরও বলা আছে, প্রতিউত্তরে সে (মাসুদা আক্তার) আমাকে বলে তোকে বলতে হবে। তুই কে? আমি তখন প্রতিউত্তরে বলি আমি ডেপুটি ডিরেক্টর। সে প্রতি উত্তরে বলে ১৮ বছর ধরে এখানে চাকুরি করি। তোর মত ডেপুটি ডিরেক্টর আমি মানি না।

আর বেয়াদব ও অসভ্য বলে গালিগালাজ করে। তখন আমি জনাব এ. কে. এম. কামরুজ্জামান, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১)-কে সাথে নিয়ে রুমের বাহিরে চলে আসি। অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়েছে, মাসুদা আক্তার আমাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও উচ্চ-বাচ্চ্য করতে থাকে, যা পরিচালকের রুম থেকে সকলে শুনতে পায়। তার কিছুক্ষণ পর প্রকল্প পরিচালক মহোদয় কক্ষে উপস্থিত হলে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুখে বিষয়টি শুনে তৎক্ষনাত ট্রেজারারের নিকট বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করেন। ভুক্তভোগী হিমাদ্রি শেখর মন্ডল বলেন, ওইদিস মাসুদা আক্তার-এর উচ্চ-বাচ্চ্যে মো. মঞ্জুর হোসেন, সহকারী পরিচালক এবং কর্মচারী মোতালেব ও মো. জিয়াদুর রহমান, মো. আলী, আকাশ দাসসহ অনেকে তৎখনাত চলে আসে এবং উপস্থিত সকলেই তার গালি- গালাজ ও উচ্চ-বাচ্চ্য শুনতে পায়। আমি একজন সিনিয়র কর্মকর্তা হয়েও জুনিয়র কর্তৃক অপদস্ত হয়েছি। আমাকে অপদস্থ করার জন্য তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদা আক্তার বলেন, ৩০ অক্টোবর আমি চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় এই দপ্তরের উপ-পরিচালক হিমাদ্রী শেখর মন্ডল তার সাথে একই দপ্তরের সেকশন অফিসার কামরুজ্জামান রাসেলকে নিয়ে রুমে প্রবেশ করে। এরপরই তিনি জোর করে রুম দখল নিয়েছেন কি না জানতে চান। ওই দিন দুপুরের মধ্যেই এই টেবিল যেন বাইরে চলে যায়। তারপর সে উত্তেজিত হয়ে আমার গায়ে হাত তুলতে উপক্রম হয় তখন দপ্তরের অন্য কলিগরা তাকে থামাতে চেষ্টা করেন। এই ব্যাপারে আমিও রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি৷ এবিষয়ে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদ বলেন, আমার সাথে ছোট একটা বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। হিমাদ্রি শেখরের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলে পরে শুনেছি। এর থেকে বেশি কিছু আমি জানিনা। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনার দিন যখন বিষয়টি জানতে পারি তখন দুইজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠানো হয়েছে যেন লিমিট ক্রস না করে। পরবর্তীতে মাসুদা আক্তার নামের ওই কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, এখন রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার ও উপাচার্য স্যার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ