পশ্চিমতীরের মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল

পশ্চিমতীরের মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাও। এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

রোবাবর ভোরে এই হামলায় প্রাথমিকভাবে সেখানে একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরে একটি মসজিদের নিচে কম্পাউন্ডে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। তারা হামলার পরিকল্পনা করার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে ওই ভবনটিকে ব্যবহার করে আসছিল।

বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হামলায় মসজিদের বাইরের অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসছেন।

অবশ্য ইসরাইলি এ হামলায় হতাহতের পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানানোর পর ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অধিকৃত পশ্চিমতীরে এটি ইসরাইলের দ্বিতীয় বিমান হামলা। অবশ্য গাজার মসজিদগুলোতে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং সর্বশেষ দুদিন আগে ইসরাইলের হামলায় ধসে পড়েছে গাজার একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইলি বিমানবাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। এবার পশ্চিমতীরের মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

সর্বশেষ