PES 2013 Download for Windows 7/8/10/11 - PES2013

Download PES 2013 for Windows 7/8/10/11 and dive into the exciting world of soccer with PES2013. Experience realistic gameplay and enhanced football simulation.
Get it now for FREE !

Pes 2013 Download
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী

 

বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি মাঠে নামতে চায়, জামায়াত এবং আরও অনেকেই। তারা আন্দোলন করুক, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নাই। কিন্তু তারা যদি আবারও কোনো রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা ধ্বংসাত্মক কাজ করে, যদি তারা কোনোরকম দুর্বৃত্তপনা করে আমরা কিন্তু ছেড়ে দেবো না। তিনি বলেন, কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে। যেটা আগে করেছিল, আগামীতে যেন করতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমানের সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু টিকতে পারেনি। যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ায়, তারা বেইমানদের ব্যবহার করে, কিন্তু রাখে না।

এটাই হলো বাস্তবতা। মোশতাককে বিদায় নিতে হয়। আসল চেহারা বেরিয়ে আসে জিয়াউর রহমানের। একাধারে সেনাপ্রধান এবং নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়।

তিনি বলেন, আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, এদেশের নাগরিক হিসেবে বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার ছিল না। সে অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, ইনডেমনিটি আইন জারি করে। শুধু ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়নি, জিয়াউর রহমান জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছে। তার হ্যাঁ/না ভোট। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংবিধান এবং মিলিটারি আইন ভঙ্গ করে নিজে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর পর দল গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে কারচুপি করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করে তখন থেকে আমাদের লক্ষ্য যেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ছয় দফা দিয়েছিল। ছয় দফা যখন দিয়েছিল তখনও তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান চালিয়ে জাতির পিতাকে উদ্ধার করেছিল। তিনি বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, অনেক সময় তাকে সাজাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি থেমে যান নাই। সত্তরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না। জাতির পিতা জানতেন এবং তার প্রস্তুতিও ছিল। ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা করে, সঙ্গে সঙ্গে জাতির পিতা শেখ মুজিব যুদ্ধের ঘোষণা দেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতির পিতার নির্দেশ ও আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রু মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার দশ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান তিনি উপহার দেন। সারা বিশ্বের কোনো দেশ এত দ্রুত সংবিধান দিতে পারেন নাই। জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশের বিচার কার্যক্রমের গোড়াপত্তন।

সর্বশেষ