আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ লাখ নেতাকর্মীর সমাবেশ করার লক্ষ্য নিয়েছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।তাদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সারা দেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন।
সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রায় মাসব্যাপী প্রচার চালিয়েছে ছাত্রলীগ। গত ১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রস্তুতিসভা ও ১৮ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে সারা দেশের নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতাদের নিয়ে ১২৭টি সমন্বয় কমিটি এবং ১৮টি সার্বিক উপকমিটি গঠন করা হয়েছে সমাবেশে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় ছাত্রলীগ। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। সারা দেশে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও প্রচার মিছিল করা হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ শাখাগুলোর সমন্বয়ক সাফিনাজ হাসান তালুকদার বলেন, ‘আমাদের কোনো নির্দিষ্ট টার্গেট করে বলা হয়নি যে এতজন আনতে হবে। নির্দেশনা ছিল সর্বোচ্চ নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আনতে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শাখাগুলোতে উপস্থিতির কথা বলেছি।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এটি বাংলাদেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর একটি প্রতীকী ছাত্র সমাবেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। গতকাল বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, আজ দেশের বৈধ সরকারকে হটাতে ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে চক্রান্ত চলছে, ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে তার প্রতিবাদ করা হবে।
পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী ও জনসমাবেশ নিয়ে গত ২২ আগস্ট দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকা ও আশপাশের ১১ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা, দলের মেয়র, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করেন। সেখানে আগামীকালের জনসমাবেশে সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীকে উপস্থিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগ দেব। বাস ও ট্রেনে করে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাবেন।
সূত্র: কালেরকন্ঠ