শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পেল পাকিস্তান

 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় এক উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। হাম্বানটোটায় রোমাঞ্চকর এ জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল বাবর আজমের দল।

৩০১ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেম শেষ ১২ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৭ রান। হাতে ছিল মাত্র দুই উইকেট। ম্যাচটা তখন আফগানদের দিকেই। ৪৯তম ওভারের শেষ দুই বলে আবদুল রহমানকে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানের আশা জাগান শাদাব খান।

শেষ ওভারে তাই জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১১ রান। ফজলহক ফারুকি বল ছোড়ার আগেই শাদাব ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এই সুযোগে তাকে মানকাডিং করেন ফারুকি। মাঠ ছাড়ার আগে ৩৫ বলে ৪৮ করেন তিনি। তারপরও শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১১ রান তুলে নেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান নাসিম। পরের দুই বলে নেন এক। ফলে শেষ তিন বলে লাগে ৬ রান। হারিস রউফ ৩ নিয়ে স্ট্রাইক দেন নাসিমকে। এবার তিনি সজোরে ব্যাট হাঁকিয়ে চার মারেন। এতে এক বল বাকি থাকতেই জয় পায় পাকিস্তান। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন ইমাম উল হক।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে মনে রাখার মতো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর ইব্রাহিম। তাদের ২২৭ রানের জুটিটি দেশের দ্বিতীয় সেরা জুটি। ১০১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানে ইব্রাহিমের আউটে জুটিটি ভেঙে যায়। ৪৫তম ওভারে গুরবাজকেও হারায় আফগানিস্তান। আউট হওয়ার আগে ১৫১ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৫১ রান করেছেন তিনি।

আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। গত বছর ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইব্রাহিম জাদরানের ১৬২ রানের ইনিংসটি ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

ইব্রাহিম ও গুরবাজের পর আর কেউ খুব বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারলেও ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০০ রান তুলতে পারে আফগানরা।

সর্বশেষ