এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ):
ভৈরবে পৌর শহরের কমলপুর নিউ টাউনের কুখ্যাত ফেনসিডিল ব্যাবসায়ী রুবেল প্রতিদিন প্রকাশ্যে লাখ লাখ টাকার ফেনসিডিল করছে। আর তা দেখে বিক্রয় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসীর ক্ষোভ ও আশংঙ্গপ্রকাশ করে।
কিশোরগঞ্জ জেলার বন্দরনগরী ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর নিউ টাউন এলাকায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালের পিছনে চিপা গলীতে প্রতিদিন প্রক্যাশে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক বিক্রয়ের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
রুবেল মাদক বিক্রয়ের অপরাধে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তারপরও কিভাবে সে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ভৈরবে মাদক ব্যবসা প্রতিরোধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভৈরব সার্কেল অফিস, ভৈরব থানা পুলিশ, র্যাব -১৪ ভৈরব ক্যাম্প, জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী। রুবেল শুধু নিজেই ব্যবসা করে তা নয়, ইতিমধ্যে সে তার মতো করে আরো অনেক কেই তৈরি করেছেন শাখা প্রশাখার মত করে। গুপ্ত স্থান হিসেবে সে ব্যবহার করে ভাড়া করে নেওয়া দুটি রিক্সা গ্যারেজ ও ভৈরব থানার পিছনে তার আন্ডারগ্রাউন্ড করা বাড়ি।তার প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা দেখে লোভের বশবর্তী হয়ে নউটাউন ও আমলা পাড়ার ঘরে বিক্রি হচ্ছে মাদক।এসব মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে এলাকাবাসীদাবী জানান।
এব্যাপারে ভৈরব পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শিমুল বলেন, মাদক ব্যবসায়ী রুবেল কে মাদক বিক্রয়ের অপরাধে ৩বার তাকে মারধর করেছি এবং তাকে মারধর করতে গিয়ে আমি নিজেও ব্যাথা পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তাকে কয়দিন পর পর মাদক ব্যবসার অপরাধে পুলিশ,ডিবি, র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করলেও সে আইনের ফাঁকফোকড়ে কয়েকদিন জেল খেটে বের হয়ে আবারও পূর্বের ন্যায় ব্যবসা শুরু করে।
গত কিছুদিন পূর্বে ডিবি পুলিশ মাদক সহ গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করলেও সে আবার এসে কৌশল বদলে মাদক বিক্রয় করা শুরু করে।
এব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার বলেন, স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই তিনি এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাছাড়া পুলিশ অফিসাররা যদি তার বাড়িতে অভিযান চালায় কিংবা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলেও সে কিছু কথিত সিনিয়র সাংবাদিকদের দিয়ে ঐ পুলিশ অফিসার কে ফোন করিয়ে মানুষিক ভাবে চাপে রাখার কথা জানান বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার।
এবিষয়ে মাদকদ্র নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভৈরব সার্কেল এর কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান তালুকদারেরের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলে আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারব না।
রুবেলের এই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি নিয়ে র্যাব ভৈরব -১৪ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আলী’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান ইতিমধ্যে তার বিষয়টি সিইউ ও স্যারকে অবগত করা হয়েছে। তাছাড়া তার পিছনে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী কাজ করছে। মাদক সহ তাকে পেলই আবার তাকে গ্রেফতার করে আনা হবে।
এবিষয়ে জেলা মিটিংয়ে আলোচনা করার পরও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।এছাড়াও থানা পুলিশ কে বার বার ভৈরবের মাদক বিক্রি বন্ধের বিষয়টি অবগত করা হলেও কোন কার্যকরী ভূমিকা কেন নেয়া হচ্ছে না তা আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ভৈরব মাদক নির্মূল না হলে কিশোরগঞ্জ জেলার কোথাও মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে না বলেও তিনি জেলা অফিসের মিটিংয়ে জানিয়েছেন বলে তিনি জানান। বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়ের মুঠোফোনে কল করলে উনার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।