আগৈলঝাড়ায় টিসিবির পন্যে কম দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ কার্ডধারীরা। দুই ঘন্টা পন্য দেওয়ায় বন্ধ

আগৈলঝাড়ায় টিসিবির পন্যে কম দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ কার্ডধারীরা। দুই ঘন্টা পন্য দেওয়ায় বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার:-

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় টিসিবির পন্যে কম দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়েছে কার্ডধারীরা। দুই ঘন্টা পন্য দেওয়ায় বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থায়তায় টিসিবির পন্য দেওয়া শুরু করা হয়। এসময় দায়িত্বরত ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমী সুপার ভাইজার প্রান কুমার ঘটক উপস্থিত ছিলেন না। কার্ডধারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসে ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ৮০৩জন কার্ডধারীদের মাঝে ৫ কেজি চাল, দুই কেজি সয়াবিন তৈল, দুই কেজি মশুর ডাল ৪শত ৭০টাকায় শনিবার বিকেলে বিতরণ করছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অপু এন্টার প্রাইজ। দুইশত কার্ডধারীদের পন্য দেওয়ার পরে কার্ডধারীদের মাপে কম দেওয়ার সন্দেহ হয়। তখন কার্ডধারী সুজন বেপারী, হাবিব মল্লিক, মিজানুর রহমানসহ ১০-১৫ জনের চাল মেপে দেখা যায় ৫ কেজি চালে ৩-৪শত গ্রাম চাল কম। এবং দুই কেজি মশুর ডালে ১ থেকে দেড়শত গ্রাম ডাল কম দেওয়া হচ্ছে। এই কম দেওয়ার ঘটনায় উপস্থিত কার্ডধারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তখন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত হয়ে টিসিবির পন্য দেওয়া বন্ধ করে দেন। এবং ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন টিসিবির পন্যে কম দেওয়ার ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেনকে জানান। শনিবার টিসিবির পন্য দেওয়ার সময় ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমী সুপারভাইজার প্রান কুমার ঘটক উপস্থিত ছিলেন না। এব্যাপারে কার্ডধারী রাংতা গ্রামের হাবিব মল্লিক বলেন, এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যতবার মাল দিয়েছে, ততবারই কম দিয়েছে। শনিবার বিকেলে টিসিবির পন্যে কম দেওয়ার সন্দেহ হয়। তখন চাল ও ডাল মেপে কম পাওয়া যায়। এব্যাপারে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, চাল ও ডালে কম দেওয়ায় ঘটনা কার্ডধারীরা আমাকে জানান। আমি গিয়ে চাল ও ডাল মেপে ৩-৪শত গ্রাম চাল কম ও ডালে ১ থেকে দেড়শত গ্রাম কম পেয়ে পন্য দেওয়া বন্ধ করে দেই। এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন জানাই। দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে পুনরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন নির্দেশে টিসিবির পন্য দেওয়া শুরু করা হয়। এব্যাপারে ওই স্থানে পন্য দেওয়ার দায়িত্বে থাকা উপজেলা একাডেমী সুপারভাইজার প্রান কুমার ঘটক বলেন, আমার জ্বর থাকা ও বৃষ্টি হওয়ায় কারনে আমি যেতে পারিনি। এব্যাপারে অপু এন্টার প্রাইজের মালিক অপু সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি কার্ডধারীর পন্যে কম হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে এবং বলেন আমি এইজন্য দুঃক্ষিত। পরবর্তীতে আর কোন কার্ডে কম দেওয়া হবে না বলে জানান। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এবং সঠিক ভাবে মেপে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ