দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৬ মার্চ থেকে হিলিসহ দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে চাহিদার পুরোটা মেটানো হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে। পাইকারি বাজারে পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া থেকে পেঁয়াজ আসছে। দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এসব জেলাগুলো কৃষকরাই এখন ৬০ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না।
আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পাবনায় গত বুধবার কৃষকরা পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা কেজি দরে। ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারে গতকাল পাইকারি পর্যায়ে ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
সবজির বাজার :
বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমেছে। দাম কমে কাঁচা মরিচ কেজি ১২০, বেগুন ৫০ থেকে ৭০, পটোল ৬০, টমেটো ৫০, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০, করলা ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০, মুলা কেজি ৪০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারে কথা হয় বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাঈম ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে কিছুটা কমলেও এখনো তুলনামূলকভাবে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির দাম আরো কমা দরকার।’
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সবজি ব্যবসায়ী মো. মেহেদী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন কারওয়ান বাজারে সবজির আমদানি বেড়েছে, যার কারণে বেশির ভাগ সবজির দাম কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।’
মুরগির বাজার :
রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম কিছুটা কমে এখন ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই মুরগির দাম কমতির দিকে। এখন খুচরায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রকারভেদে কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুরগির চহিদা কমার কারণে পাইকারিতে মুরগির দর কম। ফলে খুচরা পর্যায়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র: কালেরকন্ঠ