তরিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জের মিলন জাতীয় ধারাভাষ্যকার হিসাবে অভিষেক হলো। মিলনের বাড়ি কালিগঞ্জের খুব্দীপুর গ্রামে, পিতা মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল মালেক মাস্টার। মিলন তার ডাক নাম প্রকৃত নাম মো: ইসমাইল হোসেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতারে ধারাভাষ্যকারের কন্ঠস্বরের পরীক্ষায় অডিশনে অংশগ্রহণ করেন। এবং সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হোন। ২০২৩ সালের ১৪ই মে বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডে মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডেতে সাতক্ষীরা জেলার একমাত্র জাতীয় ধারাভাষ্যকার হিসাবে বাংলাদেশ বেতারে তার অভিষেক হয়।বাংলাদেশ বেতারের ডেপুটি ডিরেক্টর মো: রফিকউদ্দিন আকন্দ, সিনিয়র ধারাভাষ্যকার আলফাজউদ্দিন আহমেদ, ড. সাইদুর রহমান এবং শ্রোতাদের পক্ষে পিন্টু তাকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন। সাতক্ষীরাবাসী ও তার এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মো: ইসমাইল হোসেন পেশাগত দিক থেকে ৮৭ নং মুড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। প্রতিবেদকে জানান কিভাবে তিনি জাতীয় ধারাভাষ্যকার হলেন, তিনি বলেন ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি ট্রপি তে কেনিয়াকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। শেষ মুহুর্তে ধারাভাষ্যে ছিলেন চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত প্রয়োজন “১ বল ১ রান ” তখন থেকে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম বাংলাদেশ বেতারে ধারাভাষ্যকার হওয়ার। তারপর বিভিন্ন মাঠে ধারাভাষ্য দিতাম একপর্যয়ে রেডিও নলতার ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ও উপস্থপনায় সংযুক্ত হই এর ফলে আমি নিজেকে অতি দ্রুত তৈরী করতে পারি আজ আমি সফলতা পেয়েছি । আমার সফলতার পিছনে অনেকের সহযোগিতা আছে আমি কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি।
এলাকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে কি ভূমিকা রাখবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমি সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক গ্রামে জন্মগ্রহন করে চেষ্টা করছি বিভিন্ন মাঠে ধারাভাষ্য দিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে চাই যাতে তারা মাদক থেকে দূরে থাকে,মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে। এছাড়া এখান থেকে অনেক খেলোয়াড় তৈরি হবে যারা একদিন জাতীয় দলে খেলবে,আমি ভালো লাগার জায়গা থেকে কমেন্ট্রি করি আর ভবিষ্যৎতে এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সকলের দোয়ায় সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমার পরিকল্পনা একটি সুন্দর খেলাধুলার পরিবেশ যেন আমি আমার এলাকায় তৈরী করতে পারি”। কালিগঞ্জের ক্রিকেট প্লেয়ার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরার সৈম্য যেখন মাঠে খেলে তখন পুরাদেশবাসী আনন্দিত হয় তেমনি মো: ইসমাইল হোসেন মিলনের কণ্ঠস্বর আমাদের আনন্দ দিবে এটা প্রত্যাশা করে সর্ব স্তরের মানুষ।