নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নোয়াখালীতে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লবের উদ্যোগে কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার দিনব্যাপী জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা নোয়াখালীর সদর উপজেলার অর্শ্বদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষক মন্নানের ১০০ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন। এতে কৃষক পরিবার খুব খুশি।
এদিকে শ্রমিক ও আর্থিক সংকটে কৃষকের পাশে এমন মানবিক কাজে নোয়াখালী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব এগিয়ে আসায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক প্রশংসা করেন। জানা যায়, নোয়াখালী জেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। এ সময় কৃষকরা শ্রমিক ও আর্থিক সংকটে পড়েন। সময় মতো ধান কেটে বাড়িতে আনতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম হামিদুল হক বকুলের ছেলে ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নোয়াখালীর সদর উপজেলার অর্শ্বদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষক মন্নানের ১০০ শতাংশ জমির ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
এ সময় ধান কাটা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সুজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইউনুস হায়দার আবির, ইয়াছিন আরাফাত ফয়সাল, মো. দাউদ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক রায়সহ প্রমুখ। কৃষক আব্দুল মন্নান জানান, আমি বহু কষ্টে ১০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছি বর্তমানে শ্রমিক সংকট ও শ্রমিক মূল্য বেশি হওয়ায় আর্থিক সংকটের কারণে ধান কেটে বাড়িতে আনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম।জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব ভাইসহ নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় আমার উপকার হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এসব নেতাকর্মীকে দোয়া করছি।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ আহ্বানে অসহায় কৃষকদের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার এ কর্মসূচি পালন করি। আমাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
