আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ঈদের হিসাবের চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ১৮.২ শতাংশ, নিহত ২১.১ শতাংশ, আহত ৩৩ শতাংশ কমেছে। সকালে নগরীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২৩ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতিবেদনটি তৈরি করে।
এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন ৮৮ জন চালক, ১৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪২ জন পথচারী, ৪৮ জন নারী, ৪০ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, একজন সাংবাদিক, পাঁচজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।
সংঘটিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৩৬.৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৬.৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-লরি, ৫.৬ শতাংশ কার, মাইক্রোজিপ, ৪.৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা, ৬.৭ শতাংশ অটোরিকশা, ১২.৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল এবং ১৬.৯ শতাংশ বাস এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৬ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৭.২ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২০.৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ১৬.৪ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনায় পড়েছে।
সূত্র: কালেরকন্ঠ