আইজিপির সাথে ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

আইজিপির সাথে ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

হাসানুজ্জামান সুমন,বিশেষ-প্রতিনিধি:

আজ (৩১ মে ২০২৩) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আইজিপির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ আহবান জানান।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
অনুষ্ঠানে ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশিদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি জামিল আহমদ, অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির, এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মোঃ মনজুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা এ. কে. এম. কামরুল আহছান প্রমুখ এবং ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আপনারা জনমনে যে আস্থা তৈরি করেছেন, তা ধরে রাখতে আপনাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানাই। ফলে আমাদের পেশাগত কাজ আরও শাণিত হয়। তিনি বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে পুলিশ-সাংবাদিক যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে দেশের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকরা তাদের কলম দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়তে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। ফলে জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্ক সুদৃঢ হয়েছে। জনগণের মাঝে পুলিশ ভীতি দূর করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, ক্র্যাবের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের যে পেশাগত সুসম্পর্ক রয়েছে ভবিষ্যতে তা আরও সুসংহত হবে।
ক্র্যাব সভাপতি বলেন, কাজের ধরণ ও বাস্তবতার প্রেক্ষিত থেকেই পুলিশের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখতে হয় ক্রাইম রিপোর্টারদের। পুলিশও ক্রাইম রিপোর্টারদের বন্ধু মনে করেন।
ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রেসক্লাবের পর বাংলাদেশে সাংবাদিকদের প্রথম কোনো বিটভিত্তিক সংগঠন হচ্ছে ক্র্যাব। মূলধারার গণমাধ্যমের ক্রাইম রিপোর্টাররাই এর সদস্য। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে পুলিশের যে বিবর্তন হয়েছে তাতে ক্রাইম রিপোর্টারদেরও অবদান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইজিপি ক্র্যাব নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। ক্র্যাব নেতৃবৃন্দও আইজিপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

সর্বশেষ