গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোননয়পত্র সংগ্রহ করেন ১৩ জন। এর মধ্যে ১২ জন মেয়র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ২৯০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মনোননয়পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে রিটার্নিং অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সকাল ৯ টার পর উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মেয়র পদে এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মনোননয়পত্র সংগ্রহ করেন ১৩ জন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলসহ ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়ে ১২ জন মেয়র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া ২৯০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান জানান, মেয়র পদে যারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন— আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অ্যাড: আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন মন্ডল (স্বতন্ত্র), মো. আতিকুল ইসলাম (গণফ্রন্ট), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাইর রহমান, মো. রাজু আহমেদ (জাকের পার্টি), সরকার শাহনুর ইসলাম (স্বতন্ত্র), হারুন অর রশীদ (স্বতন্ত্র) আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র), মোকলেছুর রহমান (স্বতন্ত্র), অলিউর রহমান (স্বতন্ত্র), জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র এবং মো. জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকলেছুর রহমান জমাদানের শেষ দিনেও মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষে সার্বিক কাজ চলমান রয়েছে। এখানে ১৯ জন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ একাধিক টিমের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোন প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ এপ্রিল এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ মে। ৯ মে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা। ২৫ মে হবে ভোটগ্রহণ। সিটি করপোরেশনের ৫৭ টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার।