চলতি বছর হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। আগামী ২১ মে হজের প্রথম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অ্যাপস উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদুল হক বলেন, এবছর নয়বার সময় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কিছু কোটা বাকি রয়েছে। এখন হাতে আর কোনো সময় নেই। তাই ওটা (কোটা) পূরণ না হলেও এ বছর হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কারণে মন্দা চলছে। এই অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব মুসলিম দেশগুলোর ওপর পড়েছে। ফলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত থেকেও হজযাত্রী যাওয়ার সংখ্যা কমে গেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ হজযাত্রী সংখ্যা তুলনা করলে অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো। হজ শেষ হলে আপনারা দেখতে পারবেন অন্যান্য দেশ কতো সংখ্যক হজ কোটা ফেরত দিয়েছে।
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন রিফান্ড, নিবন্ধন ও নিবন্ধন রিফান্ড আবেদন সিস্টেমের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ফলে হজযাত্রীরা এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই ভাউচার তৈরি করতে পারবেন।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। হজ এজেন্সিগুলো প্রযুক্তিগত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়েছে। গত ১৪ বছরে হজ ব্যবস্থাপনায় যে উন্নতি হয়েছে তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগের বছরের হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী বছরের হজের প্রস্তুতি শুরু হয়। অর্থাৎ মন্ত্রণালয় সারা বছর ধরেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে। সৌদি সরকারের দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে পরিবর্তিত নিয়মনীতির আলোকে প্রস্তুতি চলতে থাকে। এ ধারাবাহিকতায় দেশের মধ্যে অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সফল, নিরাপদ ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার করণীয় পর্যায়ক্রমে সুন্দরভাবে সম্পাদন করে চলছে।’
হজ যাত্রীদের চাপ সামলাতে সরকার প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু এ বছর হজ প্যাকেজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় কোটা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সির মালিকরা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
সরকারিভাবে হজ পালনে এবার খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। যা গত বছরের হজ প্যাকেজ থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বেশি।