সড়ক ও রেলপথে বাড়ছে ভিড়, নৌরুটে নেই ভোগান্তি

আজ থেকে শুরু হয়েছে মুসলিমদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল। ফলে রাত থেকেই গ্রামের পানে ছুটতে শুরু করেছেন অনেকেই। তবে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের। রেল স্টেশন, বাসস্ট্যাড কিংবা ফেরিঘাট সবখানেই একই চিত্র।

সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীরা যার যার গন্তব্যের ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত স্বস্তিতেই যেতে পারছেন যাত্রীরা। যদিও স্টেশনের গেটে অনেকটা কড়াকড়িভাবেই চলছে চেকিং কার্যক্রম। বিনা টিকিটে কেউ যাতে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না পারে সেটি খুব কঠোরভাবে দেখছেন রেলের কর্তব্যরতরা।

এদিকে, বুধবার শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই প্রায় নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে ছুটছে ট্রেন। ফলে সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এছাড়াও অনলাইন মাধ্যমে যারা টিকিট কাটতে পারেননি তাদের জন্য যাত্রার দুই ঘণ্টা আগে স্ট্যান্ডিং টিকিট টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে স্ট্যান্ডিং টিকিট পেতে ভোর থেকেই বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় জমান। তবে এ ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ টিকিটের বেশি বিক্রি করা হচ্ছে না। এতে অনেকেই টিকিট কাটতে না পেরে স্টেশন ত্যাগ করছেন।

অন্যদিকে, সকালে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ ঘুরে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া গাবতলীতেও আগের তুলনায় যাত্রীর কিছুটা চাপ বেড়েছে। তবে নির্ধারিত শিডিউলে বাসগুলো না ছাড়াসহ অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।

সুনামগঞ্জের উদ্দেশে বাসে ওঠা আশিক মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য সাড়ে ৮টায় বাসের টিকিট কেটেছি। এখন সাড়ে ৯টা বাজে। বাস এখনও ছাড়েনি। আর অন্য সময়ে ভাড়া ৬০০ টাকা নিলেও ঈদের কারণে এখন সাড়ে ৭০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। এসব বিষয় দেখার কেউ নেই।

এদিকে, ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট দেখা যায়নি। তবে এ দিন বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজায় উত্তরবঙ্গগামী মানুষদের মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

তবে রেল ও সড়কপথে যখন তীব্র ভিড়, তখন নৌরুটে ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে যাত্রীর চাপ বাড়লেও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। বুধবার সকালে নদী পারাপারের অপেক্ষয় থাকা যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। আর প্রতিটি ফেরিতে ৩০০ থেকে ৪০০ মোটরসাইকেল পার হতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ