ঈদযাত্রায় ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে সরকার। কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে তিন ধাপে টিকিট চেক করা হচ্ছে। টিকিটের সঙ্গে চেক করা হচ্ছ এনআইডি। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে এখন পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দেই বাড়ি যেতে পারছে মানুষ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের প্রবেশ মুখেই দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। সেই বেড়া দিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। সেখানে এক দফা টিকিট চেক করা হচ্ছে। সেখান থেকে আরেকটু সামনে দিয়ে আরেক দফা চেক করা হচ্ছে। এরপর কেচি গেটে ঢুকতেই আরেকবার টিকিট চেক করা হচ্ছে। যাদের টিকিটের সাথে এনআইডি পাওয়া যাচ্ছে না তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হ্যান্ডমাইকসহ স্টেশনের মাইকে বারবার বলা হচ্ছে টিকিট ছাড়া যেন কেউ না আসে।
এদিকে ঈদের ছুটিতে অফিসের শেষ কর্মদিবস ছিল আজ। সকাল থেকে চাপ না থাকলে অফিস ছুটির পরপরই চাপ বাড়তে শুরু করেছে কমলাপুর রেলস্টেশন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। যাত্রীরা যার যার গন্তব্যের ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছেন। পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত আটটার দিকে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ৮টা ১০ মিনিটের দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে। ট্রেন প্রবেশ করার সাথে সাথে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে উঠতে থাকে। অনেককে ট্রেনের জানালা দিয়ে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এর আগে ঈদযাত্রা খুব কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, এবার ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য মাঠে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মানুষের চাপ থাকায় হয়তো ট্রেনের ভেতরে টিকিট চেকিংটা কষ্টকর হবে। তবু এটা আমাদের করতে হবে। তবে আমরা এন্ট্রিতে চেকিং হবে। কমলাপুরে কিন্তু দুবার চেকিং হবে। বিমানবন্দরেও প্রবেশের সময় টিকিট চেক হবে। আমরা টিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
রেল সচিব বলেন, ঈদের সময় ট্রেনে ওঠানামা নিয়ে সমস্যার কথা শোনা যায়। একটা অভিযোগ আছে আমাদের বিরুদ্ধে যে, টিকিট কাটার পরও যাওয়া যায় না। স্বাভাবিক যে ঈদের সময় চাপ পড়ে সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কোনোভাবে ট্রেনের ছাদে যাতে কেউ না উঠতে পারে। বিশেষ করে কমলাপুর-বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের ওপর বেশি জোর দিয়েছি। এখানের যাত্রীরা কীভাবে সহজে ঢুকতে পারে, সেজন্য আমরা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রবেশমুখে আমরা ব্যারিয়ার দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেব।
এদিকে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকি অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিন (১৫ এপ্রিল) বিক্রি হয় ২৫ এপ্রিলের টিকিট, ১৬ এপ্রিল বিক্রি করা হয় ২৬ এপ্রিলের টিকিট, ১৭ এপ্রিল বিক্রি করা হয় ২৭ এপ্রিলের টিকিট। আজ ১৮ এপ্রিল বিক্রি করা হচ্ছে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। আগামীকাল ১৯ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।