হাসানুজ্জামান সুমন,বিশেষ-প্রতিনিধি: আজ সোমবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) ২ হাজার ৫০০ নারী পুলিশ সদস্য আছেন। বেশির ভাগই কাজ করছেন ভিকটিম সাপোর্ট ও উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে। আইনি সহায়তার পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীদের মানসিক সহায়তাও দিচ্ছেন এসব নারী পুলিশ সদস্য।
তিনি আরও বলেন, ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ও উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে শুধু নারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। নির্যাতিত নারীদের মানসিক ও আইনগত সেবাসহ বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন নারী পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশের নারীরা মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের অনেক মানসিক সীমাবদ্ধতা কাজ করে। মফস্বলে পোস্টিং দিলে তাঁরা যেতে চান না, ঢাকায় থাকতে চান। অনেক ক্ষেত্রে নাইট ডিউটি দিলে নারীরা অনীহা প্রকাশ করেন। এই মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, এসবির উপ-মহাপরিদর্শক আমেনা বেগম, সাবেক ডিআইজি মিলি বিশ্বাস ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিতা হক। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান গান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গণ ও উপ-পুলিশ কমিশনার সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।