সীতাকুণ্ডের পশ্চিম লালানগর গ্রামে সূর্যমুখীর হাসিতে দুলছে মাঠ

আকাশ দাশ সৈকতঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালা নগর (বৈদ্য পুকুর) গ্রামে সূর্যমুখীর হাসিতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।

প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপবান উদ্ভিদ সূর্যমুখী। ভোজ্যতেলের সংকটকালে তেলজাতীয় উদ্ভিদ সূযমুখী চাষ এখন দেশের কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেউ কিনেন, কেউ চাষ করেন, আবার কেউ ফুলের সৌন্দর্য দেখতে জমিতে ভীড় করেন। এ জন্য সবাই ফুলের কাছে ছুটে যান। আর এ ফুল যদি হয় শস্য ক্ষেতের সুন্দর হলুদ সূর্যমুখী, তাহলে তো কথাই নেই। এমনই চিত্র দেখা গেল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম পশ্চিম লালানগরের বৈদ্য পুকুর। মাত্র ১৫ শতক জমিতে এই দৃষ্টিনন্দন ফুলের চাষ করেছেন চাষী জাহাঙ্গীর আলম। গ্রামের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ইতিমধ্যে ভীড় করছেন গ্রামবাসী ছাড়া ও পাশ্ববর্তী গ্রামের লোকজন।

সূর্যমুখী ফুলের চাষ এই এলাকার ফুল প্রেমিদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণসহ হইচই ফেলে দিয়েছে। ফুল ফোঁটার পর প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছেন। সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর শুনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুলবাগানটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। সেলফি তুলছেন উৎসুখ মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ এলাকাবাসীর অনেকেই এই ফুল চাষ করারও কথা বলছেন।

দর্শনার্থী মোহাম্মদ রাকিবুল হোসেন বলেন, “সীতাকুণ্ডের অনেক জায়গায় এর আগেও সূর্যমুখী ফুলের ব্যাপক চাষ হয়েছিলো। তবে নিজ গ্রামে প্রথমবারের মতো এই ফুলের ঘ্রাণ নিতে পারা অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা। একটু মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে ও বাগান ভরা ফুল দেখতে এখানে আসা। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর লাগছে। তাই সবাই মিলে এ মনোরম দৃশ্য ফ্রেমে বন্দী করছি”।

এইদিকে বাগান মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “উপজেলায় এর আগে অনেকে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে চলতি বছর মাত্র ১৫ শতক জমিতে আমিও এই ফুলের চাষ করলাম। ফুল ফোঁটার পরপরই এইখানে ফুল দেখার জন্য অনেকে ভীড় করছে। আমাদের গ্রাম ছাড়াও বাইর থেকে লোক আসছে নিয়মিত। কেউ ফুলের সাথে সেলফি তুলছে কেউ আবার পুরো বাগান ঘুরে ঘুরে দেখছে”।

সর্বশেষ