মেহেদী হাসান শাহীন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোলাঘাট এলাকায় গত সোমবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাস্তার পাশ থেকে এক রোহিঙ্গা যুবককে অচেতন অবস্থায় দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মাদকের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সহযোগীরা তাকে পিটিয়ে অচেতন করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে বলে অভিযোগ করেন আহত রোহিঙ্গা যুবক।
আটক রুবেল মোহাম্মদ (২২) মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের মুন্ডু এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পানবাজার ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মারুফ শেখ জানান, বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট এলাকায় অচেতন অবস্থায় একজন পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তিনি গ্রাম পুলিশ নিয়ে ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আসমাউল হুসনা জানান, রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরলে সে রোহিঙ্গা বলে জানায়। পরে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি রেখে শ্রীপুর থানায় খবর দেওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোহিঙ্গা যুবক রুবেল মোহাম্মদ বলেন, গত বুধবার (১লা মার্চ) মাদক পরিবহনের জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা বেতনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি ট্রাক চালক নুর মোহাম্মদ, আরও দুই রোহিঙ্গা যুবক সবুজ ও শহিদ তাকে নিয়ে ট্রাকে ময়মনসিংহ এলাকায় দুই কার্টন ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা নামিয়ে দেন। মাল নামানো শেষে মাদক বিক্রির টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এরপর তারা আমাকে ট্রাকের মধ্যেই মারধর করে গোলাঘাট এলাকায় রেল লাইনের পাশে ফেলে রেখে যায়। ময়মনসিংহ এলাকায় ইয়াবা ও গাঁজা নামানো হয়েছে বললেও স্থানটার নাম বলতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ওই যুবককে হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।