মেহেদী হাসান শাহীন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বাতিল
ও শপথগ্রহণে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে মামলা
করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ
সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থীরা।
রবিবার (৫ মার্চ) প্যানেল সভাপতি পদপ্রার্থী মো. সহিদউজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গাজীপুর সিনিয়র সহকারী জজ-১ (সদর) আদালতে মামলা করেন।
রবিবার সকালে ফলাফল বাতিলের দাবিতে আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থীরা, সমর্থক ও আইনজীবীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বক্তারা বলেন, ভোট কারচুপি ও ব্যালট পেপার লুটপাটের মাধ্যমে গাজীপুর বারকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। বারের ইতিহাসে এমন ভোট চুরির ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেনি। পেশাজীবী সংগঠনটির সহাবস্থানের ঐতিহ্য আজ চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। অবিলম্বে এ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে পুন:নির্বাচন দাবি করছি।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মো.
সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক
(ভারপ্রাপ্ত) মো. নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে
বক্তব্য দেন গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি জিপি
সোলায়মান দর্জি, সাবেক সভাপতি মো. সুলতান
উদ্দিন, সাবেক স্পেশাল পিপি মো. মুস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, নীল
প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. সহিদউজ্জামান ও
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।
পরদিন ফল ঘোষণা করা হয়। ২২টি পদের মধ্যে
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাদা প্যানেলের
২১ জন ও নীল প্যানেলের একজনকে সহ-সভাপতি
পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রাতে ভোট গণনাকালে ব্যালট পেপারের সঙ্গে ব্যালট বইয়ের মুড়ির মিল না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থীরা তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলনে করে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।