যুবলীগ কর্মী রাজুর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে মানববন্ধন

হাসানুজ্জামান সুমন,বিশেষ-প্রতিনিধি:
মোহম্মদপুরে যুবলীগ কর্মী তানভীর রহমান রাজু বিরুদ্ধে গত ৩রা মার্চ-২৩ মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করায়,আজ মোহাম্মদপুর উপজেলাতে হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন ও অবিলম্বে রাজুর মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মাগুরার মোহম্মদপুরে যুবলীগ কর্মী তানভীর রহমান রাজুর মুক্তি ও অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার (৫ মার্চ) সকালে স্থানীয় বাসস্টান্ড এলাকায় বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মরকলিপিও প্রদান করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে নীরব উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ঈদুল শেখ, বালিদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিনা, জেলা আওয়ামী যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শারমীন আক্তার রুপালী, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল ইমরান।
লিখিত স্মারকলিপি পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য নাজনীন রব্বানী।
গত বছরের ২৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হাস্যোজ্জল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন রাজু, যা ভাইরাল হয়। এছাড়া তিনি বিধি লঙ্ঘণ করে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার হলে অনধিকার প্রবেশ করেন যা দৈনিক সমকালসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় উঠে আসলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। উপজেলা সদরের মডেল মসজিদের নির্মান কাজের উদ্ধোধনের সময় বেপর্দা অবস্থায় মোনাজাতে অংশ নেওয়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দেয়। তার একাধিক বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিষয়গুলো বিভিন্ন সময়ে তানভীর রহমান রাজু তার নিজের ফেসবুক আইডিতে তুলে ধরায় গত ৩ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: বেবী নাজনীন তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা নারী মহলসহ সচেতন জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শুধু তাই নয় এই উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে যেভাবে ছবি পোস্ট করে তাতেও অনেক সমালোচিত হয়েছে। বিশেষ করে নৌকায় লাইভ প্রোগ্রাম করার সময় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাকে বেপর্দা অবস্থায় দেখা যায় এবং সে নিজেও তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে থাকে। যা একজন মুসলিম নারী হিসাবে কখনো কাম্য নয়। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বিশেষ করে নারী পুরুষ এমনকি ছোট ছেলেমেয়েরা তার সমালোচনা করে।
উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, স্বারকলিপির বিষয়ে ডিসি স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি এটাকে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। আজকের মধ্যেই পাঠানো হবে।

সর্বশেষ