গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দুই বাসিন্দার রিটে প্রাথমিক শুনানির পর আজ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রিটে। দুদকের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার সচিব, দুদক সচিব, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট আবেদনকারী নজরুল ইসলাম গত বছরের ২২ জুলাই কিরণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদকে আবেদন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনা, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ কিরণের বিরুদ্ধে দুর্নীতর অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের আরজি ছিল সে আবেদনে। কিন্তু দুদক এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। পরে ‘কিরণের কেরামতিতে বেহাল গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ শিরোনামে গত বছর ২১ আগস্ট একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রুল ও অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন।
বরখাস্তের পর তিন সদস্যের মেয়র প্যানেল গঠন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, তালিকার প্রথম ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় জন, পর্যায়ক্রমে তৃতীয়জন দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুয়ায়ী প্যানেলের প্রথম ব্যক্তি হন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ। মেয়র প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন- ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল আলীম মোল্লা এবং ২৮, ২৯, ৩০ নম্বর (সংরক্ষিত ওয়ার্ড-১০) মহিলা কাউন্সিলর মোসা. আয়েশা আক্তার। বরখাস্তের তিন দিন পর অর্থাৎ ওই বছরের ২৮ নভেম্বর আসাদুর রহমান কিরণকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র এম এ মান্নান বরখাস্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালের ৫ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ১৮ জুন পর্যন্ত ২৭ মাস ১৩ দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কিরণ।
এদিকে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি। পরে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
সূত্র: কালেরকন্ঠ