পুলিশের এএসপি জামাইকে সেলুট জানিয়ে পেশাগত সম্মান প্রদর্শন করলেন ইন্সপেক্টর শশুর

হাসানুজ্জামান সুমন,বিশেষ-প্রতিনিধি: জামাই (মো:সালাউদ্দিন কাদের,বিসিএস ৩৮তম ব্যাচ) গত ২৯শে জানুয়ারি সারদা থেকে পুলিশ এর ট্রেনিং শেষ করে। গতকাল জামাই (মো:সালাউদ্দিন কাদের) শশুররের বাড়ি (ইন্সপেক্টর মোঃ শাহীন মামুন ,ফতুল্লা সার্কেলের নারায়ণগঞ্জ জেলাতে কর্মরত) বেড়াতে এলে তার শশুর ,জামাই এএসপিকে সেলুট দিয়ে পেশাগত সম্মান প্রদর্শন করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর শাহিনের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সহ আরো অনেক গণ্য মান্য ব্যাক্তিবর্গ। এমন আনন্দঘন মুহূর্তকে ক্যামেরা বন্দি করেন ইন্সপেক্টর শাহিনের সাংবাদিক বন্ধু (হাসানুজ্জামান সুমন) । জামাই আসবে বলে আগে থেকেই ইন্সপেক্টর শশুর পোশাক পরিধান করা অবস্থায় তার বাসায় অবস্থান করছিলেন। জামাই আসলে দেখা গেল যে সে ও পোশাক পরিহিত অবস্থায় বাসায় প্রবেশ করিতেছে।

এমত অবস্থায় অসাধারণ একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করার জন্য শ্বশুর মেয়ে জামাইকে পেশাগত সেলুট প্রদর্শনের মাধ্যমে বাসায় প্রবেশ করান। তাদের মুখে ছিল শ্রদ্ধা সম্মান ও ভালবাসার হাসি। এ প্রসঙ্গে ইন্সপেক্টর শাহিনের বন্ধু সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন,কি উদাহরণ তৈরি করতে মেয়ে জামাইকে এভাবে বরণ করেলেন। উত্তরে তিনি বললেন , কিছুই না শুধুমাত্র আমার পেশাগত কারণে ও আন্তরিকতা এবং ভালোবাসার উদাহরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। ইন্সপেক্টর শাহীন দীর্ঘ ৩৩বছর যাবত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মেয়ের জামাই সদ্য প্রাপ্ত এ এসপি যাতে সে অনেক গর্বিত।

বর্তমানে তার জামাই (মো:সালাউদ্দিন কাদের,বিসিএস ৩৮তম ব্যাচ) এএসপি হিসাবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার পেশোনে পটুয়াখালী জেলায় আছেন। চাকুরীর সুবাদে এখন তিনি পটুয়াখালীতেই থাকবেন। ইন্সপেক্টর শাহিনের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। মেয়ে ফেরদাউস জাহান(নিশি)সে ও মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। একমাত্র ছেলে সে ও এ বছর এইচএসসি পাস করেছে। পরিবারের প্রশ্নে ইন্সপেক্টর শাহীন জানান ,সব কিছুর জন্য আমার স্ত্রীর অবদান সব থেকে বেশি কারণ আমি পুলিশের চাকরি করি ঠিকমত ছেলে মেয়ে পরিবারের খেয়াল রাখতে পারিনা তার পরেও তিনি (আমার স্ত্রী ) অত্যান্ত আদর ও ভালোবাসা দিয়ে ছেলে মেয়েদের বড় এবং মানুষের মতো মানুষ করে তুলেছে। আমি আমার পরিবার (ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী ) নিয়ে অত্যন্ত আনন্দিত ও খুশি এবং আপনাদের সবার কাছে আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।

 

সর্বশেষ