মেহেদী হাসান শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীদের অবিষ্ফোরিত ককটেল, লাঠিসোঁটা, সংগঠনের চাঁদা আদায়ের রশিদসহ ছাত্র শিবিরের ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি’র বাসন থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মহানগরের ভোগড়া রিয়াদ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আলমগীর হোসেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেদী হাসান (২৬), আমিরুল ইসলাম আফনান (১৮), মো. জায়েদ (১৯), মো. মেহেদী হাসান(১৯), মো. মোবাশ্বির ইমাম (১৯), মো. রাজু খান (১৮), মুজাহীদ হাসান (১৮), মো. খালেদ বীন হোসাইন (১৯), মো. মেহেদী হাসান (১৯), মো. জিন্নাহ (১৯), মো. জোবায়ের হোসেন (১৮), রাইসুল ইসলাম মেহেদী (১৯), মো. সাদেকুল ইসলাম (১৮), মো. আতাউল্লাহ আফফান (১৮), মো. ইয়াসিন আরাফাত (১৮), মো. তাওহীদ (১৬), মো. রকিব (১৬), মো. নাঈম (১৬), মো. আলী আজগর (১৬), মো. মজিবুর রহমান (২৫)।এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪ টি বাঁশের লাঠি, ২৫ টি বিভিন্ন সাইজের ইটের টুকরা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির লেখা একটি ছোট ব্যানার, ৫ টি লাল স্কচটেপ মোড়ানো অবিষ্ফোরিত কথিত ককটেল, ৫ টুকরা বিষ্ফোরিত ককটলের খোঁশা ও ৪ টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই পাওয়া গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, সরকার পতনের উদ্দেশ্যে বাসন থানাধীন ভোগড়া বাসন সড়ক রিয়াদ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের সামনে লাঠিসোঁটা এবং ইট নিক্ষেপ করে মহাসড়কে চলাচলারত গাড়ি ভাংচুর করছে ও ককটেল ফেলে জনমনে আতংক সৃষ্টি করছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন ৩/৪/৬ মামলা দায়ের করা হয়েছে।