২০২২ সালের শেষনাগাদ ভারতের জনসংখ্যা পৌঁছেছে ১৪১ কোটি ৭০ লাখে। একই সময়ে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ২০ লাখ। অর্থাৎ চীনের চেয়ে ৫০ লাখ জনসখংখ্যা বেশি ভারতের। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রায় ২০ কোটি মানুষ ভারতের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাড়ি জমিয়েছেন। এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। এর বড় একটি কারণ, গ্রামে কাজের সংকট ও নিম্ন মজুরি। ফলে মানুষ কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে শহরে চলে যাচ্ছেন।
কেরালাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বিশেষজ্ঞ এস ইরুদায়া রাজনের ভাষ্যমতে, জনসংখ্যার স্থানান্তরের ফলে শহরে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এখন শহরে এই মানুষগুলো মানসম্মত জীবনযাপন করতে পারবে কি না, সেটা বড় একটি প্রশ্ন। সেটা না হলে শহরাঞ্চলে বস্তির সংখ্যা বাড়বে, দেখা দেবে রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব।
বর্তমানে মানুষের গড় বয়স ২৮ বছরের বেশি। আর ৬০ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি। এখন বিশাল এক জনগোষ্ঠী তরুণ, তারা এক সময় ভারতের সবচেয়ে বড় বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবেন।
অন্যদিকে চীনের জনসংখ্যা রেকর্ডহারে কমছে। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বলছে, চীনে গত বছর ২০২১ সালের তুলনায় জনসংখ্যা কমেছে ৮ লাখ ৫০ হাজার।
জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকের কারণ হবে এশিয়া ও আফ্রিকার ৮টি দেশ। সেগুলো হল কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপাইন ও ভারত।