বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিউলী আজাদের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে শংকর রায় নামের এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ‘স্যার তো মিটিংয়ে আছেন।’ আবদুস সাত্তার ভুঞার সঙ্গে সভা শেষ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘কিছু নেতাকর্মী স্যারের বাসভবনে আছেন।
এদিকে আবদুস সাত্তার বৃহস্পতিবার দিনভর গণসংযোগ, নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন, মিছিল করেন। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকে দেখা যায়। একটি সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির এক সাবেক নেতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার অরুয়াইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা করেন আবদুস সাত্তার। পরমানন্দপুর হাজি মকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ ও সুধীসমাজের ব্যানারে সভায় সভাপতিত্ব করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ খান। ওই সভায় আওয়ামী লীগের উল্লেখ্যযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব। এর মধ্যে সিরাজ খান বসেন আবদুস সাত্তারের ডান পাশে একটু দূরে। বাম দিকে পাশাপাশি বসেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু তালেব। বিকেলে উপজেলা সদরের দেওয়ান মোকারম আলী মার্কেটে সাত্তারের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গগসংগঠনের নেতাদের মধ্যে মাহফুজ আলী, ইকবাল হোসেন, রোকেয়া বেগম, আসমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সাদেকুর রহমান, এম কামাল হকসহ কয়েকজন উপস্থিত থাকার খবর পাওয়া যায়। পরে শহীদ মিনার চত্বর থেকে সাত্তারের কলার ছড়া প্রতীকের পক্ষে মিছিল বের হয়।
তবে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান লস্কর তপু জানান, আবদুস সাত্তার দল থেকে পদত্যাগ করায় বিএনপির কেউ তার পক্ষে কাজ করবে না। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে না।
অভিযোগ উঠেছে, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তারকে জয়ী করে দিতেই সরকারি দল আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে। আওয়ামী লীগ চায় সাত্তারের জয়ের মধ্য দিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। বিএনপির কেন্দ্র থেকে শুরু করে স্থানীয়ভাবেও এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।
রাত পৌনে ৯টার দিকে আবার ফোন করা হলে শিউলী আজাদ বলেন, ‘উনি আমার পাড়া বেড়াচ্ছেন। সবার কাছেই তিনি ভোট চাইছেন। আমার কাছে আসার বিষয়টা এত হাইলাইটসের কিছু না।’ তিনি এসেছিলেন―এমন বিষয়টি জোর দিয়ে বলার পর বলেন, ‘তিনি আমার বাড়ির সামনে দিয়ে গেছেন। তখন আমি মাত্র বাড়িতে ঢুকি।’
একটু পরই ফোন করা হলে আবদুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা এমপির বাসায় গিয়েছিলাম। ওনার কাছে দোয়া চেয়েছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবে কাজ করব।
সূক্র: কালেরকন্ঠ