কিয়েভের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকসি কুবেলা জানিয়েছেন, দুঃখজনক ঘটনায় ১৮ জন নিহত ব্যক্তির পাশাপাশি আরও ২৯ জন আহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই কিন্ডারগার্টেনের পাশে আগুন ধরে যায়। এ সময় শিশু ও কর্মীদের কিন্ডারগার্টেন ভবন থেকে সরিয়ে আনা হয়। আগুন জ্বলতে থাকা একটি ভবনের বাইরে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ মেলে। জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়টি অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, একটি আবাসিক ভবনে আছড়ে পড়ার আগে হেলিকপ্টারটি ওই কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হানে। দুর্ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোনাস্তিরস্কি ছাড়া এই মন্ত্রণালয়ের আরও দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন ফার্স্ট ডেপুটি মিনিস্টার ইয়েভহেন ইয়েনিন ও স্টেট সেক্রেটারি ইউরি লুবকোভিচ।
খবরে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোনাস্তিরস্কি এবং অন্যরা হেলিকপ্টারে করে এমন একটি জায়গায় যাচ্ছিলেন যেখানে যুদ্ধ চলছে। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মন্ত্রিসভার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সে দেশে রুশ অভিযানের পর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতদের ব্যাপারে তথ্য জানাতেন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ঘটনাটিকে একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই কিন্ডারগার্টেনের একজন শিক্ষক জানান, তারা প্রথম উড়ন্ত কিছুর আওয়াজ শোনেন, তারপর হঠাৎ করেই তা থেমে যায়, দেখা যায় আগুনের ঝলক এবং শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। ঘটনার সময় আবহাওয়া কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ভবনগুলোয় আলো জ্বলছিল না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ ঘটনাকে এক ‘মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেছেন।