নরসিংদীর রায়পুরায় মির্জাচরে দুবৃত্তদের গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক নিহত হয়েছেন। একটি সভা চলাকালীন সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত চেয়ারম্যান মানিকের ভাই বারসন মিয়া। তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ মির্জাচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ মিয়ার সমর্থকরা গুলি করে মানিককে হত্যা করেছে।
নিহত জাফর ইকবাল মানিক মির্জাচর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে। তিনি টানা দুইবার মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি তিনি।
জানা যায়, একটি সভায় যোগ দিতে রায়পুরায় মির্জাচর ইউনিয়নের শান্তিপুর স্কুল মাঠে যায় মির্জাচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক। সভাস্থলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানকে লক্ষ করে শটগান দিয়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
মির্জাচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাধীন খান রুবেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঝড়গা ও দ্বন্দ্বের জেরে ফারুকুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা এলাকা ছাড়া হন।
সম্প্রতি তারা এলাকায় ফিরে আসেন। এরই মধ্যে গেল শুক্রবার দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফারুক সমর্থকরা তা না মেনে আগামী শুক্রবার মীমাংসার তারিখ নির্ধারণ করতে চান। এ নিয়ে শুক্রবার তাদের দুই সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই মধ্যে শনিবার বিকালে চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক শান্তিপুর স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সেখানে তাকে তিন সন্ত্রাসী গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সত্যজিত ঘোষ বলেন, চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ হয়েছে; কিন্তু মারা যাওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তাকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আমরা এলাকায় যাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।