জয়ে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশবাসীকে দুর্দান্ত একটি জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেই ৬ উইকেটের দুর্দান্ত একটি জয় তুলে নেয়। এর ফলে তিন ম্যাচ সিরিজের ১-০ তে এগিয়ে থাকে।

বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচটিতে জয়ের ভিতটা গড়ে দেন টাইগার বোলাররা। টার্গেট টপকাতে ব্যাট করতে নেমে দলকে সহজ জয় এনে দেন ব্যাটসম্যানরা।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেধে দেওয়া১৫০ রান টপকাতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আকিল হোসাইনের শর্ট বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে আউট হন লিটন দাস।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এই বাঁহাতি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন তামিম। অফ সাইডে বল পাঠিয়ে শান্ত এক রান নিতে চেয়েছিলেন। তামিম সেই ডাকে সাড়া দেন। কিন্তু অ্যান্ডারসন ফিলিপের সরাসরি থ্রো তাকে বাঁচাতে পারেনি। চারটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তামিম।

এরপর নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে এই পার্টনারশিপ থেকে আসে ৪৯ রান। শান্ত ৪৬ বলে ৩৭ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। পরে অবশ্য পুরানের স্পিনে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তবে নো বলের কল্যাণে বেঁচে না তিনি। মাহমুদউল্লাহ বাঁচলেও বাঁচতে পারেননি আফিফ হোসেন। পুরানের শিকার ১৭ বলে ৯ রান করে।

১১১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আর নুরুল হাসান সোহান। দুজনে দারুন ব্যাট করে ৬ উইকেটের বড় জয় এনে দেন। মাহমুদউল্লাহ ৬৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৭ বলে ২০ রান করেন সোহান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শাই হোপ।

দ্বিতীয় পাওয়ার প্লের শুরুতে আরেক ইনফর্ম ওপেনার কাইল মায়ার্সকে ফেরান মিরাজ। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ইনিংসের ২১তম ওভারে জোড়া আঘাতে শামার ব্রুকস ও ব্র‍্যান্ডন কিংকে আউট করেন শরিফুল। কিং ৮ রান করেন, ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে ব্রুকসের ব্যাট থেকে। সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক নিকোলাস পুরান আর হার্ডহিটার রভম্যান পাওয়েল। দুইজনকেই ফেরান মিরাজ। পুরান করেন ১৮ রান, পাওয়েল লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন ৯ রান করে।

এরপর ৩ রানে থাকা আকিল হোসাইন রান আউটে কাটা পড়লে একশর কোটা ছোঁয়ার আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিক শিবির। পরে রোমারিও শেইফার্ডের ১৫ রানের সঙ্গে সিলস আর ফিলিপের ৩৯ রানে শেষ উইকেট জুটিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় ক্যারিবীয়রা। যেখানে ফিলিপ ২১ আর সিলস ১৬ রান করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভার বল করে এক মেডেনে ৩৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ৯ ওভারের মধ্যে দুই মেডেন দিয়ে ৩৬ রান খরচায় মিরাজের শিকার ৩ উইকেট। মুস্তাফিজ শরিফুলের সমান ইকোনমি রেটে শিকার করেছেন এক উইকেট। অন্যদিকে উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত ছিলেন নাসুম। ৮ ওভার বল করে তিন ওভার মেডেন দিয়ে খরচ করেছেন মাত্র ১৬ রান।

সর্বশেষ